পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন জানিয়েছেন, সরকার কক্সবাজারে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জোর করে ভাসানচরে পাঠাবে না।
আজ মঙ্গলবার বিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা তাদের দেশ মিয়ানমারে ফিরে গেলেই বাংলাদেশ খুশি হবে।
ভাসান চরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর পরিকল্পনার বিষয়ে তিনি বলেন, কক্সবাজারে রোহিঙ্গারা বেশ গাদাগাদি করে আছে। তাছাড়া বর্ষার সময় ভূমিধসে মৃত্যুর আশঙ্কাও ছিল। এমন প্রেক্ষাপটে রোহিঙ্গাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে তাদের মধ্যে প্রায় এক লাখ জনকে ভাসানচরে নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সেখানে যাওয়ার পর তাদের মাছ ধরাসহ কিছু অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সুযোগ দেওয়ার কথাও বলা হয়েছিল।
মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের যখন বলা হলো তখন তারা, বিশেষ করে তাদের যারা সেবা দেয় তারা রাজি হয়নি। রোহিঙ্গাদের সেবা দেওয়া ব্যক্তিরা রিসোর্ট শহরে (কক্সবাজারে) থাকে।
তিনি বলেন, একটি কারিগরি দল রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা পরীক্ষা নিরীক্ষা করছে। তবে বাংলাদেশ সরকারের নীতিগত অবস্থান হলো কাউকেই জোর করে ফেরত পাঠানো হবে না।
এ সময় মন্ত্রী জানান, খুব সুন্দর করে ভাসানচর গড়ে তোলা হয়েছে। উচুঁ বাঁধ দেওয়া হয়েছে। বরিশাল থেকে চট্টগ্রামে নৌ রুটে স্টপওভার হবে ভাসান চর।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, গত ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গাদের বড় সমাবেশের পর তারা অনেক বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
তিনি বলেন, আমরা চাই, পরিবেশের উন্নতি হবে। আমাদের উদ্দেশ্য প্রত্যাবাসন। এ ব্যাপারে কেউ বাধা দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।