ভারতের আসামে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) প্রকাশের পর এবার দেশটিতে শুরু হচ্ছে ‘ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্ট্রার’ বা এনপিআর প্রস্তুতের কাজ।
খবরে প্রকাশ, একই সময়ে জনগণনার কাজও শুরু করবে ভারত। তবে আসামে এনপিআরের কাজ না হলেও জনগণনার কাজ হবে।
এনপিআর প্রস্তুতের সময় সাধারণ আর্থিক অবস্থান, ধর্ম, ভাষা, শিক্ষা, আবাস, সুযোগ-সুবিধা, জন্ম-মৃত্যুর হার ইত্যাদি তথ্য সংগ্রহ করা হবে। ২০২০ সালের ১ এপ্রিল থেকে গোটা দেশে এনপিআর প্রস্তুতের কাজ শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে রেজিস্ট্রার জেনারেল অব ইন্ডিয়ার কার্যালয়।
ভারতের একাধিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়, জনগণনার মতো ঘরে ঘরে সমীক্ষা চালিয়ে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যেই এনপিআর প্রস্তুতের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
সাধারণত কোনো ব্যক্তি ভারতের নির্দিষ্ট কোনো এলাকায় ছয় মাস বা তার বেশি সময় ধরে বসবাস করলে বা আগামী ছয় মাস সেখানে বসবাস করতে আগ্রহী হলে, সাধারণ বাসিন্দা হিসেবে তার নাম উঠবে ‘ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্ট্রারে’।
একই সময়ে সারাদেশে জনগণনার কাজও হবে। রেজিস্ট্রার জেনারেল অব ইন্ডিয়া আসামেও জনগণনার কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে। তবে এনআরসি প্রস্তুত হয়েছে বলে এনপিআর থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে আসামকে।
- বিএনপির দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন করার অধিকার নেই : তথ্যমন্ত্রী
- চট্টগ্রাম টেস্ট : চতুর্থ দিনের খেলা ২০ মিনিট আগে শুরু হবে
এনপিআর এবং এনআরসি- দুটোই প্রায় একই ধরনের কাজ। এনআরসিতে নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদনপত্র চাওয়া হয়। এনপিআর প্রস্তুতের জন্য ঘরে ঘরে গিয়ে সমীক্ষা চালানো হবে।
জানা যায়, দুই প্রক্রিয়াতেই প্রত্যেক ব্যক্তির বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করা হয়। আসামে ৪০ লাখের বেশি মানুষের বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে এনআরসির মাধ্যমে।