সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টির দায়ের করা মানহানি মামলায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে জামিন দিয়েছে আদালত।
ঢাকার মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন রোববার পাঁচ হাজার টাকার মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন।
গত ৩ সেপ্টেম্বর এ আদালতে আত্মসমর্পণ করে মইনুল জামিনের আবেদন করলে শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক।
রোববার মইনুলের পক্ষে শুনানি করেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি গোলাম মোস্তফা খান।
শুনানিতে তিনি বলেন, এ মামলার সব ধারা জামিনযোগ্য। ব্যারিস্টার মইনুলের বয়স আশি বছর। তিনি কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাকে জামিন দেওয়া হোক।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সরকারবিরোধী জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনে উদ্যোগী হওয়ার মধ্যে গত বছরের ১৬ অক্টোবর এক টিভি আলোচনা অনুষ্ঠানে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’ বলে সমালোচনার মুখে পড়েন মইনুল।
ওই ঘটনায় দেশজুড়ে তার বিরুদ্ধে দুই ডজনের মতো মামলা হয়; ঢাকায় মাসুদা ভাট্টি নিজে এই মামলা করেন; তবে তার মধ্যেই মাসুদা ভাট্টিকে ফোন করে ক্ষমা চেয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী।
জেলায় জেলায় মামলা হওয়ার পর গত বছরের ২২ অক্টোবর ব্যারিস্টার মইনুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে গত ১৪ জানুয়ারি কারাগার থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন মইনুল।
মাসুদা ভাট্টির করা এ মামলায় হাই কোর্ট থেকে জামিন পাওয়ার পর মইনুল সেই জামিননামা ঢাকার জজ আদালতে দাখিল করেছিলেন। কিন্তু হাই কোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করলে আপিল বিভাগ গত ২১ অগাস্ট এক আদেশে ১৫ দিনের মধ্যে মইনুলকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলে।
সে নির্দেশ অনুযায়ী তিনি গত ৩ সেপ্টেম্বর বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে বিচারক তা নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।