বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, আমরা কাজের লোক; কামলা। আমরা কামলাগিরি করতে পছন্দ করি।
আজ শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নে হেলিডে রোডের বোয়ালিয়া বিলের ওপর ১৫০ দীর্ঘ সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন পরবর্তী আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মোকতাদির চৌধুরী বলেন, এই ব্রীজটি(মুক্তযোদ্ধা সেতু) হয়ে গেলে আখাউড়া ও সদরের জনগণকে আর ইঞ্জিন চালিত নৌকা দিয়ে চলাচল করতে হবে না।
ব্রীজটিকে ‘মুক্তিযোদ্ধা সেতু’ নামকরণের প্রস্তাব রেখে তিনি বলেন, আমরা চান্দুরা থেকে আখাউড়া পর্যন্ত সড়কটির নাম রেখেছি মুক্তিযোদ্ধা সড়ক। আমরা যারা মুক্তিযোদ্ধা আছি তারা কিছুদিন পর মারা গেলে নতুন প্রজন্ম হয়তো আমাদেরকে মনে রাখবে না। দেশে যে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল এটির কথাও ভুলে যেতে পারে; এইজন্য আমি এই ব্রীজটিকে ‘মুক্তিযোদ্ধা সেতু’ হিসেবে নামকরণ করার প্রস্তাব রাখছি।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, এই রাস্তাটির (হেলিডে রোড) ওপর অনেকগুলো ব্রীজ হয়েছে। আমরা আপনাদের কাছে বিনিময়ে কিছু চাই না; আমরা সরকারে থেকে আপনাদের খেদমত যেন করতে পারি এই সুযোগটুকু শুধু আপনারা রাখবেন।
আওয়ামী লীগের এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, নির্বাচন আসলে দেখা যায় কিছু কিছু লোক বিভিন্ন কথাবার্তা বলে নৌকার বিরুদ্ধে একটা প্রচার-প্রপাগাণ্ডা চালানোর চেষ্টা করে। আপনারা বিচার করে দেখুন নৌকা বঙ্গবন্ধুর সময় সাড়ে তিন বছর ক্ষমতায় ছিল, তারপর ১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত ৫ বছর এবং ২০০৯ থেকে এখন পর্যন্ত ক্ষমতায়। মাঝখানে কী অন্য সরকার ছিল না? জিয়াউর রহমান ছিল না? এরশাদ ছিল না? এ-তো এ-তো দরদী মানুষ তারা,এই হেলিডে রোডের ওপর তারা যদি দুইটা কাজ করেছে দেখাতে পারে আমি তাদের কাছে সারেন্ডার্ড করব।
তিনি আরও বলেন, হেলিডে রোডের পাকাকরণ কাজ শুরু হয় আমি যখন প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব ছিলাম সেই সময়ে। তার আগে এই রোডের কোনো কাজ হয়নি। কিন্তু ভোটটা আসলে কিছু লোক নৌকার বিরোধিতা করতে পাগল হয়ে যায়। কারণ নৌকায় ভোট দিলে মানুষের চলাচল ব্যবস্থা সুন্দর হয়।নৌকায় ভোট দিলে বৈষ্ণবপুরে বাচ্চাদের পড়াশোনার ব্যবস্থা হয়। বৈষ্ণবপুরে যদি পড়ালেখার ব্যবস্থা হয় তাতে যাদের কিছু টাকা-পয়সা আছে তাদের অসুবিধা। এইজন্য বৈষ্ণবপুরে পড়ালেখার দরকার নেই।
- আরও পড়ুন >> আওয়ামীলীগ মানেই উন্নয়ন : মোকতাদির চৌধুরী এমপি
মোকতাদির চৌধুরী আরও বলেন, আমরা তিতাস নদী খননের ব্যবস্থা করেছি। আমি এমপি হওয়ার আগে কেউ তিতাস নদী খননের উদ্যোগ নেয়নি। আমি এমপি হওয়ার পরে তিতাস নদী খননের উদ্যোগ নিয়েছি এবং আমিই একমাত্র এমপি যে তিতাস নদী খননের জন্য সহায়তা পেয়েছি।
তিনি বলেন, আমরা এলাকার মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নে কাজ করি। আমরা চাই এই কাজ করার সুযোগটা যেন থাকে।