বিএনপি ছাত্রদলের কাউন্সিল অনুষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত নয় বলে দাবি করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ছাত্রদলের বিষয়ে ছাত্রদল নেতারা আলাপ করছেন। তারা সিদ্ধান্ত নেবে। এটা তাদের ব্যাপার। আমরা বিএনপি এটার সঙ্গে জড়িত নই। আমাদেরকে যেটা পক্ষ করা হয়েছে আমরা আমাদের উত্তরগুলো কোর্টের কাছে যথাসময়ে দেব। ছাত্রদলের সিদ্ধান্ত ছাত্রদলই নেবে।
কাউন্সিলের কী হবে-এমন প্রশ্নে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এটা ছাত্রদলই করবে। এটা তারা বলবে। আমি বিএনপির সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে এ কথা বলছি না। এটা তারা বলবে।
ছাত্রদলের তো কমিটি নেই-এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ফখরুল বলেন, এ বিষয়ে যারা দায়িত্বে আছেন তারা বলবেন।
ব্রিফিংয়ের শুরুতেই বিএনপি মহাসচিব বলেন, আপনারা সবাই ছাত্রদলের কাউন্সিলের স্থগিতাদেশের ব্যাপারে জানতে আগ্রহী, কী সিদ্ধান্ত?
এরপর তিনি বলেন, হঠাৎ করে এ বিষয়টা সামনে এসেছে, একেবারে শেষ মুহূর্তে সকলের অগোচরে। বোঝা যায়, এখানে সরাসরি সরকারের হস্তক্ষেপ আছে বলেই স্থগিতাদেশ দেয়া হয়েছে।
এ সময় তিনি প্রশ্ন রাখেন-আসলে বর্তমানে সরকার যারা আছেন তারা কি চান বাংলাদেশে ন্যূনতম গণতন্ত্রের পরিস্থিতি, পরিবেশ থাকুক?
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে বর্তমান সরকার যে কালচার তৈরি করেছে, রাজনৈতিক সংস্কৃতি তৈরি করেছে, এটা ভয়বাহ। তা হলো আদালতকে দিয়ে রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করা। গত দশ বছর ধরে তারা এই সংস্কৃতি তৈরি করেছে।
- ‘রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান সহযোগিতা করছে’
- আমরা কামলাগিরি করতে পছন্দ করি: মোকতাদির চৌধুরী
সরকার আদালতকে ব্যবহার করে বিভিন্ন আইন-কানুন তৈরি করে গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, আদালতকে প্রশ্নবিদ্ধ করে দেয়া, আদালতকে দলীয়করণের দিকে নেয়া দেশ ও জাতির জন্য শুভ নয়।
তিনি আরও বলেন, রাজনীতিতে আদালতের হস্তক্ষেপ কখনোই কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য, জাতির ভবিষ্যতের জন্য শুভ হতে পারে না।