ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দাফতরিক ফেসবুক পেজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জাতিগত বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা নিল। বেশ কয়েকটি ব্রিটিশ দৈনিকের অনলাইনে নেতানিয়াহুর পেজ বন্ধ করে দেয়ার খবর জানানো হয়েছে।
নেতানিয়াহুর এক ফেসবুক পোস্ট ঘিরেই মূলত এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, আরবরা ইসরায়েলের নারী, পুরুষ ও শিশুদের ধ্বংস করে দিচ্ছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের নাগরিকদের রুখে দাঁড়াতে হবে।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলছে, পোস্টে জাতিবিদ্বেষকে উসকে দেয়া হয়েছে।
দ্য ইনডিপেনডেন্টের খবরে বলা হয়, তবে পেজটি বন্ধ করা হয়েছে সাময়িকভাবে। ঘোষণা দেয়ার পর ২৪ ঘণ্টার জন্য নেতানিয়াহুর দাফতরিক ফেসবুক পেজটি স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে বন্ধ রাখা হয়েছে। এ ধরনের পোস্ট ফেসবুকের ঘৃণা ছড়ানো বক্তব্য ঠেকানোর নীতি লঙ্ঘন করেছে।
তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু দাবি করছেন, তিনি এমন কোনো পোস্ট ফেসবুক পেজে দেননি। ইসরায়েলের রেডিও কান রিসেট বেটকে দেয়া সাক্ষাতকারে নেতানিয়াহু বলেন, পোস্টের জন্য তিনি দায়ী নন। তার দফতরের কোনো কর্মী ‘ভুলে’ এমনটা করেছেন।
তবে নেতানিয়াহুর এমন পোস্টের পেছনে আসন্ন নির্বাচনে সমর্থন পাওয়ার প্রচেষ্টা আছে বলে দাবি সমালোচকদের। কেননা আগামী সপ্তাহে দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তার আগে মুসলিম বিদ্বেষী এমন পোস্ট তার ইহুদি ডানপন্থী দল লিকুদ পার্টির দলের জন্য সুফল বয়ে আনবে।
গত মঙ্গলবার এক নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়ে তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, নির্বাচনে জিতলে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের জর্ডান উপত্যকাকে ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করবেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ৯ এপ্রিলে নির্বাচন হয়েছিল কিন্তু তার দল ১২০ আসনবিশিষ্ট পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় সরকার গঠন করতে পারেনি।