সব রকম সাংগঠনিক ক্ষমতা থাকছে ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত দুই নেতার

বিশেষ প্রতিনিধি

আল নাহিয়ান খান জয় ও লেখক ভট্টাচার্য। ছবি : সংগৃহীত

ছাত্রলীগের পরবর্তী সম্মেলন না হওয়া পর্যন্ত সব রকম সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষমতা থাকছে সদ্য ভারপ্রাপ্ত দুই নেতা আল নাহিয়ান খান জয় ও লেখক ভট্টাচার্যের। বর্তমান কমিটির বাকি ১০ মাস মেয়াদে সাংগঠনিক কমিটি গঠন থেকে শুরু করে সাংগঠনিক সব কাজ করতে পারবেন তারা।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান এ তথ্য জানান। এই বিষয়ে আবদুর রহমান বলেন, ‘ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া দু’জন ছাত্রলীগের পরবর্তী সম্মেলন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন। শোভন-রাব্বানী কমিটির বাকি মেয়াদে তারা দায়িত্বে থাকবেন। ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের কমিটি গঠন থেকে শুরু করে নিয়মিত সব সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করবেন তারা।’

এর আগে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ সূত্র জানায়, দলীয় প্রধানের নির্দেশের খবর পাওয়ার পর রেজওয়ানুল হক চৌধুরী ও গোলাম রাব্বানী ছাত্রলীগের সাংগঠনিক নেতা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।

গত বছরের জুলাইতে ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয় এই বছরের মে মাসে। এরই মধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বাদ পড়লেন। ছাত্রলীগের ইতিহাসে এ ধরনের নজির খুব একটা নেই বলে দলের নেতারা জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, কিছুদিন ধরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নকাজ থেকে কমিশন দাবি, টাকার বিনিময়ে কমিটিতে পদ দেয়া, অবৈধভাবে ক্ষমতা প্রদর্শনসহ ছাত্রলীগের দুই শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ সামনে আসে। ৭ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের এক সভায় দলের সভাপতি শেখ হাসিনা এ নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেন। এরপর থেকেই ছাত্রলীগের দুই নেতার ভবিষ্যৎ নিয়ে দলে নানা আলোচনা শুরু হয়।

ওই সভায় ছাত্রলীগের সদ্য বাদ পড়া সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ তোলা হয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে বিতর্কিত ব্যক্তিদের কেন্দ্রীয় কমিটিতে জায়গা দেয়া, দুপুরের আগে ঘুম থেকে না ওঠা, মধুর ক্যানটিনে অনিয়মিত যাওয়া, অনৈতিক আর্থিক লেনদেন প্রভৃতি। একাধিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিকে কয়েক ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করানোর অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা।

এছাড়াও গতকাল আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় ছাত্রলীগের বিষয়টি বেশি গুরুত্ব পায়। আলোচনায় আসে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়টিও। সভায় উপস্থিত সূত্র জানায়, ছাত্রলীগের সাম্প্রতিক নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের বিষয়টি উল্লেখ করে দলের সভাপতি শেখ হাসিনা দুই শীর্ষ নেতাকে বাদ দেয়ার কথা বলেন।

এ সময় তিনি তাদের পদত্যাগ করার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি আল নাহিয়ান খান ও লেখক ভট্টাচার্যকে নতুন দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেন। তারা যাতে সম্মেলনের মাধ্যমে পরবর্তী নেতৃত্ব ঠিক করেন, সে কথাও বলেন।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে