শরীর ও মন সুস্থ থাকলে বেঁচে থাকায় সবচেয়ে বেশি আনন্দ মেলে। এগুলো যদি সুস্থ না থাকে তবে আনন্দের মুহূর্তগুলোও নিরানন্দে কাটে। জীবনযাপনে একটু হিসেবি হলে এবং কয়েকটি উপায় অবলম্বন করলে আপনার শরীর ও মন থাকবে সুস্থ ও সুন্দর।
হৃৎপিন্ডের যত্ন নিন
যুক্তরাষ্ট্রের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষেজ্ঞ ডা. বেথ অলিভার বলেন, ‘প্রতিদিন, প্রতিবেলায় বিভিন্ন রঙের ফল ও সবজি এবং যথেষ্ট পরিমাণে আঁশযুক্ত খাবার, পানি, আপেল ও আখরোট, সূর্যমুখী ফুলের বিচি, ডাল এবং ডিমের হলুদ অংশ খান। এসবই হৃৎপি-ের জন্য খুবই উপকারী।’
সবার আগে মস্তিষ্ক
মানুষের মস্তিষ্কই যদি সুস্থ না থাকে তাহলে সুস্থ থাকার মূল্য কোথায়? সেজন্য নিয়মিত আখরোট খান। এতে অনেক বেশি ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা মস্তিষ্ককে রোগ থেকে রক্ষা করে। আর টমেটো, গ্রিন টি-তে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট মস্তিষ্কের কোষগুলোকে রক্ষা করে স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে। সামুদ্রিক মাছ খেলে আলঝেইমার্সরোগের হাত থেকে মুক্তি মেলে।
কিডনি ঠিক রাখুন
খেলাধুলা, হাঁটাচলা, ব্যায়াম উচ্চ রক্তচাপ কমিয়ে ডায়াবেটিস রোধ করে। কারণ ডায়াবেটিস থেকেই কিডনির নানা সমস্যা দেখা দেয়। ফলমূল, শাক-সবজি, ফাইবার ইত্যাদি খেয়ে ওজন ঠিক রাখা প্রয়োজন। লবণ যতটা সম্ভব কম খাওয়া উচিত, কারণ অতিরিক্ত লবণ কিডনির ক্ষতি করে। কিডনি পরিষ্কার রাখতে দিনে দেড় থেকে দুই লিটার পানি পান করা প্রয়োজন।
পেট ঠিক রাখুন
মানুষের শরীরের সবচেয়ে বড় অঙ্গ অন্ত্র বা পেট, যা লম্বায় প্রায় ৮ মিটার। শরীরের গ্রহণ করা খাবারগুলো সহজপাচ্য বস্তুতে পরিণত করে অন্ত্র। সেখানে সমস্যা দেখা দিলে সবই ওলট-পালট মনে হয়। তাই শরীরকে ফিট রাখতে হলে অবশ্যই পেট ঠিক রাখতে হবে। তাই হাঁটাচলা, শস্যদানা, বিচি, সাদা দই, শাক-সবজি, ফলমূল ও সুষম খাবার গ্রহণ খুবই দরকার।
হাড়ের যত্ন নিন
হাড় শক্ত রাখতে নিয়মিত শরীর চর্চা বা বিশেষ ধরনের ব্যায়াম বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। হাড় নরম বা ভেঙে যাওয়ার জন্য শুধু বয়স বাড়াই একমাত্র কারণ নয়। থাইরয়েড, পেটের ক্রনিক সমস্যা বা পাকস্থলির অসুখের কারণেও হাড় নরম বা ক্ষয় হতে পারে। আর পুষ্টিগুণসম্পন্ন খাবার না খাওয়া, অতিরিক্ত ধূমপান ও নানা ধরনের ওষুধপত্র সেবন হাড়কে নরম করতে পারে।
রোদে বেশিক্ষণ নয়
তারুণ্য ধরে রাখতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের জুড়ি নেই। ফাস্ট ফুড, স্ট্রেস, অতিরিক্ত টেনশন, ধূমপান, মদ্যপান ইত্যাদি ত্বক নষ্ট করে। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই রোদ থেকে দূরে থাকা উচিত। শরীর ও মন ভালো এবং ফিট রাখার জন্য শরীরের ভেতরের মতো শরীরের ত্বকের স্বাস্থ্যও ভালো থাকা প্রয়োজন।
শরীরচর্চা
শরীরচর্চা ছাড়া শারীরিকভাবে সুন্দর হওয়া সম্ভব নয়। তাছাড়াও শারীরিক এবং মানসিকভাবে ফিট থাকার জন্য বছরে অন্তত একবার ‘মেডিকেল চেকআপ’ করিয়ে নেওয়া জরুরি।
হাঁটুন
শরীরের সমস্ত ভার বহন করে আমাদের পা দুটো। তাই পায়ের স্বাস্থ্য খুব জরুরি। পায়ের মাংসপেশি শক্ত করতে ও ফিট থাকতে হাঁটাহাঁটির বিকল্প নেই। হাঁটা যেকোনো মানুষকে ফিট রাখতে বড় ভূমিকা পালন করে।