মালদ্বীপ এক বছরের জন্য বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়া নিষিদ্ধ করেছে। দেশটি ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে খবরে প্রকাশ।
জানা যায়, অনিবন্ধিত প্রবাসী শ্রমিকের সংখ্যা কমাতে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দক্ষিণ এশিয়ার এই দ্বীপ রাষ্ট্র।
মালেতে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব টি কে এম মুশফিকুর রহমান জানান, মালদ্বীপ বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তবে দক্ষ এবং পেশাজীবী নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই।
তিনি জানান, বর্তমানে মালদ্বীপে এক লাখেরও বেশি বাংলাদেশি কর্মরত আছেন। যাদের বেশিরভাগই অনিবন্ধিত। এদিকে, দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে বাংলাদেশি শ্রমিকই সবচেয়ে বেশি বলেও জানান তিনি।
তবে দুদেশের মধ্যে কর্মী নিয়োগ-সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের বিষয়ে আলোচনা চলছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের তথ্য অনুযায়ী, গত ছয় মাসে প্রায় এক হাজারের বেশি বাংলাদেশিকে মালদ্বীপ থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
মালদ্বীপের গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে বাংলাদেশিদের সংখ্যা প্রায় দেড়লাখ। এর মধ্যে অনিবন্ধিত শ্রমিক প্রায় ৬৩ হাজার।
তারা বলছেন, বাংলাদেশিদের সংখ্যা নির্ধারিত কোটা ছাড়িয়েছে। তবে কোটা অনুযায়ী কতজন বাংলাদেশি দেশটিতে থাকতে পারবে সেই সংখ্যা স্পষ্ট করা হয়নি।
এদিকে বাংলাদেশ থেকে এক বছরের জন্য শ্রমিক নেওয়া বন্ধ করলেও এই নির্দিষ্ট সময়ে বাংলাদেশ ছাড়া অন্য দেশ থেকে শ্রমিক নেবে বলে জানিয়েছে মালদ্বীপের সরকার।
তবে বাংলাদেশে থেকে পেশাদারদের নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
মালদ্বীপের একটি বিশেষ টাস্কফোর্সের এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অনিবন্ধিত প্রবাসী শ্রমিক সমস্যা সমাধানের জন্য এই টাস্কফোর্স গঠন করেন রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহ।
সূত্র জানায়, এক ধরনের দালাল চক্র আড়াই থেকে তিন লাখ টাকার বিনিময়ে ট্যুরিস্ট ভিসায় বহু বাংলাদেশিকে মালদ্বীপে পাঠায়। ট্যুরিস্ট ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার এসব শ্রমিকরা অনিবন্ধিত হয়ে পড়েন।