মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একদিন আগে টেক্সাসে ‘হাউদি মোদি’ অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করেন। ৫০ হাজার লোকের সামনে ট্রাম্পের হয়ে প্রচারণা চালান মোদি।
এমন অবস্থায় ভারতীয় কূটনীতিকরা মনে করেছিলেন, একদিন পর ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে ভালো কোনো অবস্থান তৈরি করতে পারবেন না পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তবে নয়াদিল্লির আশাহত করে বেশ সফল বৈঠক করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইমরান খান।
হাউদি মোদি অনুষ্ঠানে একে অপরের প্রশাংসায় মাতেন ট্রাম্প ও মোদি। এ সময় পাকিস্তানের বিপক্ষে অভিযোগের তীর ছোঁড়েন মোদি। কাশ্মীরে শান্তি প্রতিষ্ঠার বার্তাও দেন তিনি। সে সময় ট্রাম্প ভারতকে অন্যতম বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করেন।
মোদি ও ট্রাম্পের এমন অন্তরঙ্গ মুহূর্তের পর মনে করা হচ্ছিল যে একদিন পর হতে ইমরানের সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠক খুব একটা সফল হবে না। তবে ঘটেছে ঠিক তার উল্টোটা।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, আমি পাকিস্তানের উপরে ভরসা করি। আমি চাই কাশ্মিরে সবাই ভালো থাকুন। প্রধানমন্ত্রী মোদি ও প্রধানমন্ত্রী খানের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভালো। ওরা দু’জনেই যদি বলেন যে আমাদের একটা সমস্যা দূর করার আছে, তা হলে আমি সেটা করতে পারি। একই সঙ্গে ট্রাম্পের দাবি, আমি খুবই ভালো মধ্যস্থতাকারী।
টেক্সাসের মঞ্চে সন্ত্রাস প্রশ্নে নাম না করে পাকিস্তানকে তুলোধোনা করেন মোদি। ‘মৌলবাদী জঙ্গি’দের বিরুদ্ধে যৌথ লড়াইয়ের কথা বলেন ট্রাম্পও।
কিন্তু সোমবার তিনি বলেন, কাল ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণাত্মক মন্তব্য করতে শুনলাম। সেটা আশা করিনি।
একই সঙ্গে তার মন্তব্য, ওই কথা শুনে ৫০ হাজার মানুষ খুশি হলেন।
- কিছু আ.লীগ নেতা নজরদারিতে, প্রধানমন্ত্রী ফিরলে ব্যবস্থা : কাদের
- ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন
কিন্তু মোদি তো জঙ্গি ঘাঁটি’ হিসেবে পাকিস্তানের দিকে ইঙ্গিত করেছিলেন? ট্রাম্পের জবাব, ‘আমি ইরানকেই বেশি ইঙ্গিত করেছি।
ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রের অবশ্য দাবি, এটা প্রত্যাশিতই ছিল। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার মতে, পাকিস্তানকে পুরোপুরি ছুড়ে ফেলা ট্রাম্পের পক্ষে সম্ভব নয়। মনে রাখতে হবে ট্রাম্প জানিয়েছেন যে দু’পক্ষ চাইলে তবেই তিনি সালিশি করবেন। ভারত যে রাজি নয় তা তিনি জানেন।