যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন সম্রাটকে শুক্রবার রাজধানীর বনানী এলাকার একটি বহুতল ভবন থেকে আটক করা হয়েছে বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী কোনো বাহিনী বিষয়টি প্রকাশ্যে স্বীকার করেনি।
সম্রাট গ্রেপ্তার হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, সম্রাট গ্রেপ্তার হয়েছে কিনা তা দ্রুতই জানা যাবে।
শনিবার হোটেল সোনারগাঁয়ে চীনের প্রজাতন্ত্রের ৭০ বছরের অর্জন নিয়ে অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চলমান ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান পরিচালনার দায়িত্ব র্যাবকে দেয়া হয়েছে। এ অভিযানে কেউ যেন হয়রানির শিকার না হয় সে ব্যাপারেও লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।
একটি সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাজধানীর বনানী এলাকার একটি বহুতল ভবন থেকে তাকে আটক করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী কোনো বাহিনী বিষয়টি প্রকাশ্যে স্বীকার করেনি।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, যুবলীগের প্রভাবশালী নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট চলমান ক্যাসিনো-জুয়াবিরোধী অভিযানের শুরু থেকে তাদের নজরদারির মধ্যেই ছিলেন। এই সময়ের মধ্যে তিনি বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাও চালিয়েছিলেন। তবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতার কারণে তিনি দেশ ছাড়তে পারেননি।
ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছাকাছি পৌঁছেও তিনি ফিরে আসতে বাধ্য হন। পরে কাকরাইলে ভূঁইয়া ম্যানশনে ব্যক্তিগত কার্যালয়ে টানা ছয় দিন অবস্থান করেন। আর পাহারায় বসান শতাধিক যুবককে। সেখান থেকে গত রোববার তিনি বনানীর ডিওএইচএস এলাকার একটি বাসায় অবস্থান করছিলেন। সর্বশেষ সেখান থেকেই তাকে আটক করা হয়েছে।
এর আগে অবৈধ ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া গ্রেপ্তার হওয়ার পর হাজারখানেক নেতাকর্মী নিয়ে সংগঠনের কার্যালয়ে অবস্থান করেন দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট।