অনলাইনে বেশ কয়েকটি গেমের মাধ্যমে ক্যাসিনো খেলত জুয়াড়িরা। যেগুলো অ্যাপসভিত্তিক। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য টি-২১ ও। গেমগুলো কীভাবে খেলতে হবে এবং সদস্য হতে হবে নির্দেশনা দেওয়া ছিল বাংলায়। সেলিম প্রধান সফটওয়ারের মাধ্যমে এগুলো বানিয়েছিলেন। নাম দেওয়া হয়েছিল ‘প্রধান গ্রুপ।’
আজ মঙ্গলবার বিকালে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক সারওয়ার-বিন-কাশেম সাংবাদিকদের এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানান।
সারওয়ার বলেন, ক্যাসিনো খেলতে হলে একজন গ্রাহককে প্রথমে মোবাইলে পি-২৪ সফটওয়ার ইন্সটল করতে হতো। এই সফটওয়ারে বিভিন্ন ধরনের গেম খেলা যেত। যে গেমগুলো খেলতে হলে নির্দিষ্ট ব্যাংক অথবা বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুলতে হতো।
তিনি বলেন, ভিসা কার্ড কিংবা মাস্টার কার্ডের মাধ্যমেও অ্যাকাউন্ট খোলা যেত। অ্যাকাউন্ট খোলার পর টাকা রিচার্জ করে নির্দিষ্ট ফি দিয়ে সেই গেম খেলা সম্ভব হতো। গেমে জিতলে নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে টাকা ফেরত আসত। আর হারলে টাকা কাটা যেত ওই অ্যাকাউন্ট থেকে। এটাকে আমরা গেটওয়ে বলছি।
সারওয়ার বলেন, এই গেটওয়ের মাধ্যমে টাকা তিনটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে যেত। সপ্তাহে একদিন এই টাকা একটা অ্যাকাউন্টে রাখা হতো। এছাড়া টি-২১ নামে একটা গেইম পাওয়া গেছে। যেটা সেলিমের কর্মচারী আখতারুজ্জামান চালাতো। এই গেমে যে টাকা জমা হতো সেই টাকা নগদ বা চেকের মাধ্যমে দুটি ব্যাংকে জমা করত। সেই টাকা হুন্ডির মাধ্যমে অথবা নিজেরা বহন করে বিদেশে নিয়ে যেত। এভাবেই অনলাইনে ক্যাসিনো ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন সেলিম প্রধান।
সোমবার দুপুরে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ব্যাংকগামী থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট (টিজি ৩২২) থেকে সেলিম প্রধানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছে র্যাব। তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে সংস্থাটি।