বিএনপি নেতা-কর্মীদের নামে মামলা করার কারণে বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকীকে হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগে করা মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ তিনজন।
অন্য দুইজন হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে তারা আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
বিএনপির আইনজীবী জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,৫ আগস্ট এবি সিদ্দিকীর করা মামলায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। এরপর উচ্চ আদালতে জামিন নিতে যায় তারা। উচ্চ আদালতে তাদের নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলেন। তাই আজ আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
এর আগে ৫ আগস্ট বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার।
এদিন সকালে বিএনপি নেতা-কর্মীদের নামে মামলা করার কারণে হুমকি দেয়ায় তারেক রহমান ও মির্জা ফখরুলসহ ৯ নেতার বিরুদ্ধে মামলা করেন বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
মামলার আসামিরা হলেন-বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বুয়েটের বহিষ্কৃত শিক্ষক হাফিজুর রহমান রানা ও ছাত্রদল নেতা এমদাদুল হক ভূঁইয়া।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২৩ জুলাই আমার বাসায় একটি রেজিস্ট্রি চিঠি পাঠিয়েছেন বুয়েটের শিক্ষক হাফিজুর রহমান রানা। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘ওই শালারপুত গোপালী এ বি সিদ্দিকী বিশ্ব মামলাবাজ তুই বড় বাড়াবাড়ি করছিস তোর বোন শেখ হাসিনার দাপট দেখাচ্ছিস। তোর মামলায় আমার জীবন নষ্ট হয়েছে। আর আমাদের মা বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে জেলখানায় বন্দি রেখে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করছিস। আইএসের কাছে পাঠিয়েছি। এবার তোরা মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত থাক। এর আগে গত মে মাসে তারেক রহমান আমাদের নেতাদের নির্দেশ দিয়েছিল তোকে খুন করার জন্য। তাই আমাদের নেতারা আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু নারায়ণগঞ্জের কুখ্যাত ছাত্রদলের ক্যাডার যিনি তারেক রহমানের বিশ্বস্ত ব্যক্তি এমদাদুল হককে তার বাহিনী নিয়ে তোকে কোর্টকাচারির আশপাশে খুন করার জন্য আটক করেছিল। কিন্তু বংশাল থানার আশপাশে থাকায় এবং কাকুতি মিনতি করায় তারা তোকে শর্ত দিয়ে ছেড়ে দিয়েছিল। এক মাসের মধ্যে সব মামলা প্রত্যাহার করে নিবি। তুই আমাদের বিরুদ্ধে উল্টো ছিনতাই মামলা দিয়েছিস। তাই আমাদের নেতা তারেক রহমান ক্ষুব্ধ হয়ে আইএসসহ আমাকে পাঠিয়েছে। এইবার আর তোরে কেউ বাঁচতে পারবে না প্রস্তুত হয়ে থাক।’
এবি সিদ্দিকী বলেন, হুমকির পরের দিন সরকারের কাছে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা চেয়ে হাতিরঝিল থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করি।