জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম পদত্যাগ করবেন না বলে জানিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বিচার বিভাগীয় তদন্তের যে দায়-দায়িত্ব আমাকে ওরা (আন্দোলনকারীরা) দিয়েছে, সেটি অযৌক্তিক। আমি এটা চাইতেও পারি না, করতেও পারি না। এটি সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নিবে অথবা বিচার বিভাগ চিন্তা করবে। শুধু এখানে আমাকে একটা চাপ সৃষ্টি করার অর্থই হচ্ছে একটা অযৌক্তিক দাবি নিয়ে আমাকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের জন্য আহ্বান করা। যেহেতু যুক্তি নেই, সেহেতু পদত্যাগের ইচ্ছা আমি প্রকাশ করছি না।
তিনি আরও বলেন, বিচারিক প্রক্রিয়ায় তো আমি যেতে পারি না। আমি তাদেরকে বিশেষজ্ঞের মতামত জানিয়েছি। ইউজিসি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাথে কথা বলেছি। আমার পক্ষে তো এটিই করা সম্ভব। আর মহামান্য’র (আচার্য) কাছে খবর যাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে। যদি তারা মনে করে তদন্ত করা উচিত, তাহলে অবশ্যই তারা করবে। সেক্ষেত্রে আমার দিক থেকে যতটুকু সহযোগিতা করা সম্ভব আমি করব।
ছাত্রলীগ নেতাদের সালামির বিষয়ে তিনি বলেন, আমি পাঁচ হাজারের বেশি ঈদের সালামি জীবনেও পাইনি। আমি এতবড় দিলদরাজ হয়ে যাব যে আমি এত টাকা দিব? এত যুগ-যুগান্তর চলে গেল কোনো সালামি পেল না, চৌদ্দশ কোটি টাকা আসলো আর সালামি পেয়ে গেল!
- পেঁয়াজের তেলেসমাতির আড়ালে আমদানিকারকদের কারসাজি
- জঙ্গিবাদের অর্থের উৎস অনুসন্ধানে টাস্কফোর্স গঠন করলো সরকার
আন্দোলন ও সালামি প্রাপ্তির দাবির পেছনে ইন্ধন যোগানো হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। তবে কে বা কারা করছে সে বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
সে সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মো. নূরুল আলম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান প্রমুখ।