১৭৩৯ কোটি টাকার ৩ ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন

বিশেষ প্রতিনিধি

সরকারি লগো

সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা চট্টগ্রাম জেলার বারৈয়ারহাটে ৫০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ নির্মাণ প্রকল্পসহ মোট তিনটি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ১৭৩৯ কোটি ৬৩ লাখ ৩১ হাজার টাকা।

আজ বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

universel cardiac hospital

শফিউল আলম বলেন, বেসরকারি খাতে চট্টগ্রাম বারৈয়ারহাট ১৩২/৩৩ কেভি সাবস্টেশনের নিকটবর্তী স্থানে ৫০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনের দরপ্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ২০ বছর মেয়াদী এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪১৮ কোটি ৪০ লাখ। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড।

প্রকল্পের বিস্তারিত জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রাইভেট সেক্টর পাওয়ার জেনারেশন পলিসি ১৯৯৬ এর আওতায় বিল্ড ওন অ্যান্ড অপারেট (বিওও) ভিত্তিতে আইপিপি হিসেবে চট্টগ্রাম জেলায় এই সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য ঊন্মুক্ত পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করলে ২টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে। তাদের মধ্যে কনসোটিয়াম অব আইবি ভোগট জিএমবিএইচ অ্যান্ড এজি এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে ২০ বছর মেয়াদে নো ইলেকট্রিসিটি, নো পেমেন্ট ভিত্তিতে অনুমোদন দেয়া হয়।

বৈঠকে অনুমোদিত অন্যান্য প্রস্তাবগুলো হলো, ‘এক্সপোর্ট কসপিটিবনেস ফর জবস’ প্রকল্পের একটি প্যাকেজের সেবার জন্য পরামর্শক নিয়োগের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪২ কোটি ৮১ লাখ ৬৬ হাজার টাকা।

প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। পিইসি কর্তৃক প্রস্তুতকৃত ৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্য হতে ৩টি প্রতিষ্ঠান কারিগরি ও আর্থিক প্রস্তাব দাখিল করে চূড়ান্ত মূল্যায়নে ২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে আইএমসি ওয়াল্ডওয়াইড লিমিটেডকে পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

এছাড়া কক্সবাজার বিমানবন্দর উন্নয়ন (প্রথম পর্যায়) তৃতীয় সংশোধিত প্রকল্প সংশ্লিষ্ট আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের মহেশখালী চ্যানেল পাড়ে ও বাঁকখালী নদীর তীরে স্লোপ প্রতিরক্ষাসহ অন্যান্য কাজের ভেরিয়েশনজনিত ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

এতে ৮৬ কোটি ৭১ লাখ ৬৫ হাজার টাকার খরচ বাড়িয়ে মোট খরচ ধরা হয়েছে ২৭৮ কোটি ৪১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। এর আগে মূল চুক্তিতে ১৯১ কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছিল।

প্রকল্পের বিস্তারিত থেকে জানা গেছে, বিমানবন্দর সম্প্রসারণের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকায় বসবাসরত ভূমিহীন পরিবারকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ অগ্রাধিকারভুক্ত ‘আশ্রয়ণ-২’ প্রকল্পের মহেশখালী চ্যানেল পাড়ে ও বাঁকখালী নদীর তীরে স্লোপ প্রতিরক্ষা কাজ ডিপিএম পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ নৌবাহিনী পরিচালিত ডকইয়ার্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেড নারায়াণগঞ্জের অনুকূলে ২০১৬ সালে সেপ্টেম্বরের সিসিজিপি অনুমোদন দেওয়া হয়।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে