নিজ হেফাজতে হরিণের চামড়া রাখায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে সাজা হয়েছে অনলাইন ক্যাসিনো ব্যবসার হোতা সেলিম প্রধানের। তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এর আগে তার কাছ থেকে নগদ প্রায় ২৯ লাখ টাকা, বিদেশি মদ এবং মুদ্রা উদ্ধার করে র্যাব। এছাড়া তার বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র আইনে আরও দুটি মামলা হতে পারে বলে জানা গেছে।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া পরিচালক সরওয়ার বিন কাশেম বলেন, আমরা তার অফিসে একটি হরিণের চামড়া পেয়েছি। কিন্তু এই চামড়া রাখা বন্যপ্রাণী আইনে অপরাধ। এ কারণে সেলিমকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তাকে আপাতত কারাগারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
এদিকে অপর একটি সূত্র বলছে, সেলিমের কাছ থেকে নগদ টাকা এবং মাদক উদ্ধার হওয়ায় তার বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা হবে গুলশান থানায়। এজন্য র্যাব কর্মকর্তারা সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করছেন।
ব্যাংক হিসাব স্থগিত
অনলাইন ক্যাসিনো সম্রাট সেলিম প্রধানের সব ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) মঙ্গলবার সব ব্যাংকের কাছে পাঠানো চিঠিতে এ নির্দেশনা দিয়েছে।
সেলিম প্রধানের তিনটি ঠিকানায় চিঠি পাঠিয়েছে বিএফআইইউ। সেগুলো হলো গুলশান-২–এর ১১/এ সড়কের মমতাজ ভিশন, কারওয়ান বাজারের সোনারগাঁও রোডের প্ল্যানার্স টাওয়ার ও নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ভুলতার প্রধান বাড়ি।
মামুনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা
বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের সঙ্গে বন্ধুত্ব ছিল অনলাইন ক্যাসিনো সম্রাট সেলিম প্রধানের। সম্পর্কের কারণে মামুনকে ‘বিএমডাব্লিউ’ গাড়ি উপহার দিয়েছিলেন সেলিম।
র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ কথা স্বীকার করেছেন সেলিম। মঙ্গলবার বাহিনীটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক সারওয়ার-বিন-কাশেম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
- আরও পড়ুন >> কাশ্মীরে ১৪৪ শিশু আটক
- আরও পড়ুন >> পদত্যাগ করবেন না জাবি উপাচার্য
উল্লেখ্য, সোমবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সেলিম প্রধানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর তাকে নিয়ে তার বাসা এবং অফিসে অভিযান পরিচালনা করা হয়। বাংলাদেশে অনলাইনে প্রথম ক্যাসিনো অবৈধ ব্যবসা শুরু করেন সেলিম প্রধান। তিনি বিদেশে এ ব্যবসার আড়ালে অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ টাকা বিদেশে পাচার করেছেন বলে গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য রয়েছে।