উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে দ্বিতীয় দিনের ধর্মঘটে অচল জাবি

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি

জাবিতে উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে ধর্মঘট

অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ এনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের পদত্যাগ দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো সর্বাত্মক ধর্মঘট পালন করছে একদল শিক্ষক-শিক্ষার্থী।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে এ কর্মসূচির ফলে কার্যত অচল রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম। প্রশাসনিক ভবনের ফটকগুলোতে তালাবদ্ধ থাকায় উপাচার্যসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অফিসে প্রবেশ করেননি। বন্ধ রয়েছে অধিকাংশ বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষা।

universel cardiac hospital

সরেজমিন জানা যায়, সকাল ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নূরুল আলম এবং রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) রহিমা কানিজ নতুন প্রশাসনিক ভবনে নিজেদের কার্যালয়ে প্রবেশের চেষ্টা করেন। তবে আন্দোলনকারীদের বাধার মুখে ফিরে যান তারা।

অন্যদিকে উপাচার্যের বিরুদ্ধে এ আন্দোলনকে ষড়যন্ত্রমূলক দাবি করে আন্দোলনের বিপক্ষে গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করছেন উপাচার্যপন্থী শিক্ষকরা।

এর আগে ১৮ সেপ্টেম্বর উপাচার্যকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের জন্য ১ অক্টোবর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে আন্দোলনকারীরা।

এ সময়ের মধ্যে উপাচার্য পদত্যাগ না করায় বুধবার ও বৃহস্পতিবার সর্বাত্মক ধর্মঘট পালন করছেন তারা। তবে বেধে দেয়া সময়ের শেষ দিন মঙ্গলবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে উপাচার্য পদত্যাগ করবেন না বলে জানিয়ে দেন। একই সঙ্গে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ‘অযৌক্তিক’ বলেও দাবি করেছেন উপাচার্য।

এদিকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সর্বাত্মক ঘর্মঘটের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়নি। তবে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, পূর্ব নির্ধারিত পরীক্ষা ধর্মঘটের আওতামুক্ত থাকবে।

এদিকে আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের (রাষ্ট্রপতি) কাছে উপাচার্যকে অপসারণের দাবিতে যৌক্তিকতা তুলে ধরে চিঠি দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনের মুখপাত্র অধ্যাপক রায়হান রাইন।

তিনি বলেন, ‘আমরা আজই মহামান্য আচার্যকে ফ্যাক্সের মাধ্যমে বর্তমান উপাচার্যকে অপসারণের যৌক্তিতা জানাব। উপাচার্যের দুর্নীতির বিষয়ে তাকে অবহিত করব। আর দুপুরের মধ্যে আমরা বৈঠক করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করব।’

আন্দোলনের বিষয়ে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’র সংগঠক শাখা ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ দিদার বলেন, আমরা উপাচার্যকে ১ অক্টোবরের মধ্যে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের সুযোগ দিয়েছিলাম। তিনি পদত্যাগ করেননি।

তাই আন্দোলনের মাধ্যমে তাকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে। গতকালের মতো বৃহস্পতিবারও সর্বাত্মক ধর্মঘট চলবে। এতেও উপাচার্য পদত্যাগ না করলে পরে আরও কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে