র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত ক্যাসিনোকাণ্ডে আটক যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন সম্রাটকে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে।
এছাড়া তার বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র আইনে আরও দুটি মামলা হচ্ছে। তদন্তে মানিলন্ডারিংয়ের প্রমাণ পেলে এই আইনেও তার বিরুদ্ধে মামলা হবে বলে জানিয়েছে র্যাব।
আজ রোববার বিকালে কাকরাইলে সম্রাটের অফিসে প্রায় চার ঘণ্টা অভিযান চালায় র্যাব। অভিযান শেষে রাতে সাংবাদিকদের এ ব্যাপারে ব্রিফিং করেন সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক সারওয়ার বিন কাশেম। এছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমও সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
সারওয়ার বিন কাশেম বলেন, সম্রাটের তথ্যমতে তার অফিসে আমরা অভিযান চালাই। সেখান থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি মাগজিন, পাঁচ রাউন্ড গুলি, ১১৬০ পিস ইয়াবা, ১৯ বোতল বিদেশি মদ, দুটি বন্যপ্রাণীর চামড়া, ইলেক্ট্রিক শক দেয়ার দুটি মেশিন উদ্ধার করা হয়।
র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, গ্রেপ্তারের সময় সম্রাটের সহযোগী আরমানকে মদ্যপ অবস্থায় পাওয়া যায়। এই অপরাধে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এ সময় র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম জানান, সম্রাটের অফিস থেকে ক্যাঙ্গারুর দুটি চামড়া উদ্ধার করায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া তার অফিস থেকে মাদক উদ্ধরা করা হয়েছে।
এর জন্য মাদক আইনে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা হবে। এছাড়া অস্ত্র পাওয়া যাওয়ায় আরেকটি মামলা হবে। তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সেখানে মানিলন্ডারিংয়ের তথ্য পেলে তার বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংয়ের মামলাও হবে বলে জানান র্যাবের ম্যাজিস্ট্রেট।
এর আগে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সম্রাটের কাকরাইলের অফিসে অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় সম্রাটকেও অফিসে আনা হয়। একই সময়ে তার শান্তিনগর এবং মহাখালীর ডিওএইচএসের বাসায়ও অভিযান চালানো হয়। সেখানে অভিযানে উল্লেখযোগ্য তেমন কিছু উদ্ধার হয়নি।
অভিযান চলাকালে সম্রাটের অফিসের আশপাশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অবস্থান নেয়। শত শত উৎসুক জনতা সেখানে ভিড় করে। বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মীরাও সেখানে ছুটে যান।
সম্রাট ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। গ্রেপ্তারের পরপর তাকে এবং আরমানকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।