‘শত্রুতা পোষণ করলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো আলোচনা নয়’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

কিম জং-উন
ফাইল ছবি

উত্তর কোরিয়া জানিয়েছে, শত্রুতা পোষণ করলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো আলোচনায় বসবে না।সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যকার বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার একদিন পর রোববার এ ঘোষণা দিল পিয়ংইয়ং। খবর রয়টার্স, বিবিসি ও সিএনএনের।

উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি ঘৃণা উদ্রেককারী আচরণ ত্যাগ না করে, তা হলে এ আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার কোনো ইচ্ছা পিয়ংইয়ংয়ের নেই।

universel cardiac hospital

তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনার ভাগ্য এখন ওয়াশিংটনের হাতে। আর এ জন্য চলতি বছরের শেষ নাগাদ পর্যন্ত সময় দেয়া হলো।

পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র-উত্তর কোরিয়ার মধ্যকার সর্বশেষ পরমাণু আলোচনা শুরুতেই ভেঙে পড়েছে।

সুইডেনের স্টকহোমে শনিবারের ওই বৈঠক শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরই ওয়াকআউট করেন কোরীয় কর্মকর্তারা।

এ জন্য ওয়াশিংটনকে দায়ী করে মার্কিন কর্মকর্তাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলানোর পরামর্শ দিয়েছে পিয়ংইয়ং। উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ আলোচক কিম মিয়ং গিল বলেন, আলোচনা ভেঙে গেছে।

কারণ আলোচনার টেবিলে কিছুই আনেনি মার্কিন কর্মকর্তারা। তাদের পুরনো ধ্যানধারণার কোনো পরিবর্তন হয়নি।

তাদের অবশ্যই এমন দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে। তবে আলোচনা ব্যর্থ হয়নি বলে দাবি করেছে ওয়াশিংটন। তাদের দাবি, দুপক্ষের মধ্যে ‘সুন্দর কথাবার্তা’ হয়েছে।

পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ আলোচনায় দীর্ঘ অচলাবস্থা অবসানের আশায় শনিবার সুইডেনে বৈঠকে বসে যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার প্রতিনিধিরা।

চলতি বছরের জুনে দুই কোরিয়ার মাঝে অসামরিকায়িত অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উনের সংক্ষিপ্ত সাক্ষাতের পর এটিই প্রথম আনুষ্ঠানিক আলোচনা।

তবে সুইডেনে ট্রাম্প বা কিম- এ দুই নেতার কেউই উপস্থিত ছিলেন না। উত্তর কোরিয়ার পক্ষে দেশটির একটি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন কিম মিয়ং গিল।

বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে উত্তর কোরিয়ায় মার্কিন বিশেষ প্রতিনিধি স্টিফেন বেইগান। স্টকহোমের উত্তর-পশ্চিমের দ্বীপ লিডিংগো দ্বীপে উত্তর কোরিয়ার দূতাবাসের কাছে বৈঠক বসে দুপক্ষ।

বৈঠককে স্বাগত জানিয়ে মার্কিন ট্রাম্প বলেন, ‘পরমাণু অস্ত্রমুক্ত হতে কিছু একটা করতে চায় পিয়ংইয়ং।

আলোচনা শুরুর কিছুক্ষণ পর উত্তর কোরীয় কর্মকর্তারা জানান, আর আলোচনা হবে না। দেশটির পরমাণুবিষয়ক সর্বোচ্চ দূত কিম মিয়ং গিল বলেন, সংলাপে আমাদের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি এবং শেষ পর্যন্ত তা ব্যর্থ হয়েছে।

এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভিয়েতনামের হ্যানয়ে ট্রাম্প-কিম বৈঠকও কার্যত ব্যর্থ হয়ে যায়। ওই ব্যর্থতার জন্য দুপক্ষই একে অপরকে দোষারোপ করেছেন।

হ্যানয় সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়াকে সব পরমাণু অস্ত্র ত্যাগের কথা বললে পিয়ংইয়ং মার্কিন নেতৃত্বাধীন সব আন্তর্জাতিক অবরোধ তুলে নেয়ার দাবি জানায়।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে