চলমান ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের মধ্যে গণমাধ্যমে যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতির চিত্র উঠে আসায় তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংগঠনটি।
আজ শুক্রবার যুবলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংগঠনটির প্রেসিডিয়ামের বৈঠকে তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ আতিয়ার রহমান দিপু বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে অভিযোগ আসায় কাজী আনিসকে যুবলীগ থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রেসিডিয়াম মেম্বারদের সর্বসম্মতিক্রমে তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়।
চলমান অভিযান শুরু হওয়ার পর যুবলীগের এই নেতার দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরেন আওয়ামী লীগেরই অনেকে। তারা অভিযোগ করে, আনিস কেন্দ্রীয় যুবলীগের কার্যালয়ে পিয়ন হিসেবে যোগ দেন ২০০৫ সালে। বেতন ছিল মাসে পাঁচ হাজার টাকা। সাত বছর পর তিনি কেন্দ্রীয় যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক বনে যান এবং গড়ে তুলেন সম্পদের পাহাড়।
মাত্র সাত বছরের ব্যবধানে যুবলীগের অফিস দেখাশোনার চাকরিতে নিয়োগ পাওয়া এই আনিস এখন সংগঠনটির গুরুত্বপূর্ণ পদে। প্রভাবশালী নেতাদের ব্যবহার করে সামান্য বেতনের কর্মচারী থেকে বনে গেছেন কোটিপতি। দুর্নীতি-মাদকবিরোধী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চলমান অভিযানে নজরদারিতে রয়েছেন তিনি। যেকোনো মুহূর্তে তিনি গ্রেপ্তার হতে পারেন বলে জানা গেছে। এমন পরিস্থিতিতে তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেয় যুবলীগ।
এর আগে যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুকের অনুপস্থিতিতেই সকাল ১০টায় বৈঠক শুরু হয়। যুবলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়েঅনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করছেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ।
- আরও পড়ুন >> ক্যাসিনো: ডিএনসিসির কাউন্সিলর ‘পাগলা মিজান’ আটক
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন শহিদ সেরনিয়াবাত, শেখ শামসুল আবেদীন, আলতাব হোসেন বাচ্চু, মো. সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, মজিবুর রহমান চৌধুরী, মো. ফারুক হোসেন, মাহবুবুর রহমান হিরন, আবদুস সাত্তার মাসুদ, মো. আতাউর রহমান, অ্যাডভোকেট বেলাল হোসাইন, আবুল বাশার, মোহাম্মদ আলী খোকন, অধ্যাপক এবিএম আমজাদ হোসেন প্রমুখ।