সাম্প্রতিক অফ ফর্মে থাকা (চার টি-টোয়েন্টিতে মাত্র ৬৩ রান) বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম জাতীয় লিগে (এনসিএল) অনবদ্য ইনিংস খেলে ফর্মে ফিরেছেন।
ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে ৭টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৭৫ রান করেন রাজশাহী বিভাগের তারকা ব্যাটসম্যান।
মুশফিকের পাশাপাশি বল হাতে দ্যুতি ছড়িয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, তাইজুল ইসলাম ও শফিউল ইসলাম। প্রথম ইনিংসে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে রাহশাহীর হয়ে ৪ উইকেট শিকার করেন জাতীয় দলের টেস্ট স্পেশালিস্ট স্পিনার তাইজুল। তার সতীর্থ শফিউল ইসলাম শিকার করেন ৩ উইকেট।
আন্তর্জাতিক ব্যস্ত সূচির কারণে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের জাতীয় লিগে খেলার সুযোগ সেভাবে হয় না। আগামী মাসে ভারত সফরে যাবে বাংলাদেশ দল। তার আগে জাতীয় লিগে দুই রাউন্ড খেলার সুযোগ পাবেন দেশের তারকা ক্রিকেটাররা।
জাতীয় লিগে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা অংশ নেয়ার এবারের এনসিএল নিয়ে অনেক উত্তেজনা তৈরি হয়। বৃষ্টি বিঘ্নিত প্রথম রাউন্ডের প্রথম দুই দিনে মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, তাইজুল ইসলাম ও শফিউল ইসলামরা প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স করেন।
ফতুল্লাহ খান সাহেব ওসামান আলী স্টেডিয়ামে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে করে রাজশাহী বিভাগ। বৃহস্পতিবার প্রথম দিনে তাইজুল ইসলামের স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রান করা ঢাকা বিভাগ শুক্রবার দ্বিতীয় দিনে তাইবুর রহমানের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে আরও ৯৭ রান যোগ করতে সক্ষম হয়।
ঢাকার হয়ে সর্বোচ্চ ৮৮ রান করে অপরাজিত থাকেন তাইবুর রহমান। ৬৩ রান করেন ওপেনার রনি তালুকদার। রাজশাহীর হয়ে ৯২ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন তাইজুল। ৪৩ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন শফিউল ইসলাম।
ঢাকা বিভাগের করা ২৪০ রানের জাবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বিপাকে পড়ে যায় মুশফিকুর রহিমদের রাজশাহী বিভাগ। দলীয় ১৪ রানে সুমন খানের গতির মুখে পড়ে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় রাজশাহী। এরপর অধিনায়ক জহুরুল ইসলাম অমির সঙ্গে দলের হাল ধরেন জাতীয় দলের উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। এ জুটিতে তারা ১২১ রান যোগ করেন।
ম্যাচে সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন মুশফিকুর রহিম। ১১৬ বলে ৭টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৭৫ রান করে শুভাগত হোমের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন। মুশফিকের বিদায়ের পর ব্যাটিংয়ে নেমে জাতীয় দলের তারকা ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমান সুবিধা করতে পারেনননি। তিনি ফেরেন মাত্র ১১ রানে। দ্বিতীয় দিন শেষে রাজশাহীর সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৭৩ রান। এখনও ৬৭ রানে পিছিয়ে রাজশাহী। ৫৭ রানে অপরাজিত আছেন অধিনায়ক জহুরুল ইসলাম অমি। সিলেট-বরিশাল
রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে বৃষ্টির কারণে বৃহস্পতিবার খেলা মাঠে গড়ায়নি। শুক্রবার দ্বিতীয় দিনের শেষ সেশন তথা বিকাল তিনটার পর খেলা মাঠে গড়ায়। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা সিলেট ৩ উইকেট হারিয়ে ৬৮ রান সংগ্রহ করে। ২ উইকেট শিকার করেন কামরুল ইসলাম রাব্বি।
রংপুর-খুলনা
রাজশাহীর মতো খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামের একই অবস্থা। বৃষ্টির কারণে বৃহস্পতিবার খেলা হয়নি। শনিবার দ্বিতীয় দিনের নির্ধারিত সময়ের সোয়া দুই ঘণ্টা পর খেলা শুরু হয়। স্বাগতিক খুলনার বিপক্ষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান সংগ্রহ করেছে রংপুর বিভাগ।
চট্টগ্রাম-ঢাকা মেট্টো
মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ২৯০ রান করে চট্টগ্রাম। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৯০ রান করেন তাসামুল হক। এছাড়া ৫১ রান করেন সাদেকুর রহমান। জাতীয় দলের ওপেনার তামিম ইকবাল করেন মাত্র ৩০ রান।
ঢাকা মেট্টোর হয়ে আরাফাত সানি শিকার করেন ৬ উইকেট। ৩ উইকেট নেন জাতীয় দলের অলরাউন্ডার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ২ ওপেনারের উইকেট হারিয়ে ৬৬ রান সংগ্রহ করেছে ঢাকা মহানগর।