জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) পরবর্তী সভায় ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (লাইন-১ ও ৫) অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে।
প্রকল্পটির জন্য মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল ও অনুদান হিসেবে পাওয়া যাবে ২৫ হাজার ২৩২ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
এছাড়া জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ঋণ হিসেবে দিবে ৬৮ হাজার ৫৬৭ কোটি ৩২ লাখ টাকা। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সাথে সঙ্গতি রেখে সরকার ২০১৬ সালের আগস্টে রিসিভিড স্ট্রেটেজিক ট্রান্সপোর্ট প্ল্যান (আরএসআইপি) অনুমোদন করেছে। আরএসআইপি অনুযায়ী ঢাকা শহরের যানজট দূর করার লক্ষে পাবলিক ট্রান্সপোর্টেশন নেটওয়ার্ক হিসেবে ৫টি এমআরটি লাইন তৈরি করা হবে। এর মধ্যে এমআরটি লাইন-৬ এর কাজ চলমান রয়েছে।
এ প্রকল্পটির আওতায় লাইন-১ এর প্রথম ফেজে ৩১ দশমিক ২৪ কিলোমিটার এমআরটি লাইন নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১৬ দশমিক ২১ কিলোমিটার আন্ডারগ্রাউন্ড এবং কুড়িল থেকে পূর্বাচল ডিপো পর্যন্ত ১১ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার এলিভেটেড হবে।
এছাড়া নতুন বাজার থেকে কুড়িল পর্যন্ত ৩ দশমিক ৬৫ কিলোমিটার আন্ডারগ্রাউন্ড ট্রানজিশন লাইনসহ মোট ৩১ দশমিক ২৪ কিলোমিটার নির্মাণের লক্ষে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে ৫১ হাজার ৯০০ কোটি ৩৯ লাখ টাকা ব্যয়ে জুলাই ২০১৯ থেকে ডিসেম্বর ২০২৬ সালে বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হয় পরিকল্পনা কমিশনে।
প্রকল্পটির ওপর চলতি বছরের ১৪ জুলাইয়ে প্রাক মূল্যায়ন সভা (পিইসি) অনুষ্ঠিত হয়। পিইসি সভার সিদ্ধান্তের আলোকে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ লাইন-১ এর ডিপিপি পুনর্গঠন করেছে। পুনর্গঠিত ডিপিপি অনুযায়ী লাইন-১ এর ব্যয় ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা এবং বাস্তবায়ন মেয়াদ সেপ্টেম্বর ২০১৯ থেকে ডিসেম্বর ২০২৬ পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।
এমআরটি লাইন-৫ কে নর্দান এবং সাউদার্ন রুটে বিভক্ত করা হয়েছে। নর্দান রুটের দৈর্ঘ্য ২০ কিলোমিটার এবং সাউদার্ন রুটে দৈর্ঘ্য ১৭ দশমিক ৪০ কিলোমিটার নির্ধারণ করা হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় নর্দান রুটে ২০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এমআরটি লাইন নির্মাণ করা হবে।
এর মধ্যে হেমায়েতপুর থেকে আমিনবাজার পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার এলিভেটেড এবং আমিনবাজার থেকে ভাটারা পর্যন্ত ১৩ দশমিক ৫০ কিলোমিটার আন্ডারগ্রাউন্ড হবে। এমআরটি লাইন-৫ এর জন্য ব্যয় হবে ৪১ হাজার ২৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।
এর মধ্যে সরকারি তহবিল ও অনুদান হিসেবে পাওয়া যাবে ১২ হাজার ১২১ কোটি ৪৯ লাখ টাকা এবং জাইকা ঋণ হিসেবে দিবে ২৯ হাজার ১১৭ কোটি টাকা। জুলাই ২০১৯ থেকে ডিসেম্বর ২০২৮ সালে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে।
- জেএসসি পরীক্ষা : ২৫ অক্টোবর থেকে সব কোচিং বন্ধ
- সিরিয়ায় তুর্কি অভিযানে ৪ লাখ মানুষ বাস্তুহারা হবে : জাতিসংঘ
একনেকে কার্যপত্রে ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য পরিকল্পনা কমিশনের মতামতে উল্লেখ করেছেন, এমআরটি লাইন-১ ও ৫ নির্মাণের মাধ্যমে ট্রাফিক জ্যাম কমানোসহ ঢাকা শহরে পরিবেশবান্ধব, আধুনিক ও নিরাপদ গণপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং প্রকল্প এলাকার আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হবে। এজন্য প্রকল্প দুটি একনেক সভায় অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করা হলো।