ম্যাচে সমানে সমানে লড়াই করল বাংলাদেশ। কখনও তো তাদের আক্রমণ ছিল ভারতের চেয়েও সাজানো। যার ফলশ্রুতিতে ম্যাচে এগিয়েও যায় লাল সবুজ জার্সিধারীরা। কিন্তু আবারও শেষ মুহূর্তের হতাশা। ৮৮ মিনিটের মাথায় ভারতের কাছে গোল খেয়ে জেতা ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র করেছেন জামাল ভূঁইয়ারা।
দক্ষিণ এশিয়ার দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি দলের শক্তি একসময় কাছাকাছি থাকলেও গত কয়েক বছরে অনেক এগিয়ে গেছে ভারতের ফুটবল। সেই তুলনায় বাংলাদেশ উন্নতি করতে পারেনি। তবে জেমি ডে কোচ হওয়ার পর থেকে আবারও লড়াকু বাংলাদেশকে দেখা যাচ্ছে।
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচেও শুরু থেকেই জামাল ভূঁইয়াদের লড়াকু চেহারায়ই দেখা গেল। ডিফেন্ডাররা দারুণভাবে গোলমুখ আগলে রেখেছেন। গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানাও বেশ কয়েকটি সেভ করেন।
ম্যাচের ৩৪ মিনিটে তো ভারতের ডানদিক থেকে নেয়া শট এক হাতে বারের ওপর দিয়ে বাইরে পাঠিয়ে দেন রানা, যেটি চোখের পলকে গোল হয়ে যেতে পারতো।
র্যাংকিংয়ে ৮৩ ধাপ এগিয়ে থাকা ভারতকে ছেড়ে কথা বলেনি বাংলাদেশ। প্রথমার্ধ্বেই বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করে তারা। সেই সুযোগেরই একটি কাজে লাগিয়ে ম্যাচের ৪১ মিনিটে সল্টলেক স্টেডিয়ামকে স্তব্ধ করে দেয় লাল সবুজ জার্সিধারীরা।
অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার দুর্দান্ত এক ফ্রি-কিক বক্সের মধ্যে পেয়ে লাফিয়ে ওঠে মাথা ছুঁইয়ে দেন সাদ উদ্দিন। ভারতীয় গোলরক্ষক সেটি বুঝে ওঠার আগেই জড়িয়ে যায় জালে। ১-০ গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। ওই ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই প্রথমার্ধ্ব শেষ করে জেমি ডে’র শিষ্যরা।
দ্বিতীয়ার্ধে ৫১ মিনিটের মাথায় আরেকটি বড় সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। সতীর্থের সঙ্গে দারুণ বোঝাপড়ায় দৌড়ের মধ্যেই বক্সে বল নিয়ে ঢুকে যান নাবিব নেওয়াজ জীবন, শটও নিয়েছিলেন। সেটি কোনোমতে আটকে দেন ভারতীয় এক ডিফেন্ডার।
৭১ মিনিটে বিপদ হতে পারতো। ভারতের সংঘবদ্ধ এক আক্রমণ ডিফেন্ডাররা বেশ কয়েকবার ঠেকিয়ে দিলেও শট নিয়েছিলেন স্বাগতিক দলের এক ফুটবলার। বাংলাদেশ গোলরক্ষক রানা সেটি দারুণ দক্ষতায় আটকে দেন।
৭৫ মিনিটে নাবীব নেওয়াজ ভারতীয় গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে বল পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। সেটি গোলমুখে প্রায় ঢুকেই যাচ্ছিল। এমন সময় একজন ডিফেন্ডার এসে সেটা লাথি দিয়ে ওপরে তুলে দেন। যদিও বলটি গোললাইন অতিক্রম করেছিল কিনা নিশ্চিত নয়।
- অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপের প্রথম আসর বাংলাদেশে
- বুকার জিতলেন মার্গারেট এটউড ও বার্নারডিনে এভারিস্টো
ম্যাচের তখন প্রায় শেষ পর্যায়। এমন সময়ে এসে গোল খেয়ে বসে বাংলাদেশ, ৮৮তম মিনিটে কর্নার থেকে বল পেয়ে হেডে গোল করেন ভারতের এক ফুটবলার। ১-১ সমতা ফিরে ম্যাচে। শেষ পর্যন্ত সেটাই ছিল ফল।
বাংলাদেশ একাদশ
গোলরক্ষক : আশরাফুল ইসলাম রানা, ডিফেন্ডার : রহমত মিয়া, ইয়াসিন খান, রিয়াদুল হাসান, রায়হান হাসান, মিডফিল্ডার : জামাল ভূঁইয়া, বিপলু আহমেদ, সোহেল রানা, ফরোয়ার্ড : সাদ উদ্দিন ও নাবিব নেওয়াজ জীবন।