মৃতপ্রায় নবগঙ্গার বুক চিড়ে বয়ে চলে তাল গাছের তৈরি ডোঙ্গা নৌকা। চলে একে অপরকে পেছনে ফেলে সামনের দিকে ছুটে চলা। আর এতে উৎসাহ যোগায় নদীপাড়ে থাকা দর্শনার্থী। এমনি এক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় ঝিনাইদহ শহরের নবগঙ্গা নদীতে।
ধোপাঘাটা-গোবিন্দপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির আয়োজনে আজ শুক্রবার সকালে এ ডোঙাবাইচ প্রতিযোগিতা হয়। এ সময় নদীর তীরে দাঁড়িয়ে নানা বয়সে বিপুল দর্শক উপভোগ করেন এই বাইচ প্রতিযোগিতা।
শহরের গোবিন্দপুর এলাকা থেকে বাইচ শুরু হয়ে দুই কিলোমিটার দূরের ধোপাঘাটা এলাকায় শেষ হয়। এতে অংশ নেয় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ২২টি নৌকা।
শহরের ভূটিয়ারগাতী এলাকা থেকে এ প্রতিযোগিতা দেখতে আসা ফরহাদ চৌধুরী বলেন, আমাদের নবগঙ্গা নদী মৃত প্রায়। এখানে নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা করা সম্ভব নয়। তাইতো এলাকার মানুষ ডোঙাবাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। এ প্রতিযোগিতা খুবই উপভোগ্য। না দেখলে বোঝা যাবে না বাংলার গ্রামীণ ঐতিহ্য কতটা সমৃদ্ধশীল।
একই এলাকার আতিক হাসান বলেন, দখল আর দুষণে নবগঙ্গা তার যৌবন হারিয়েছে। সরকার যদি এই দখলদারদের উচ্ছেদ করে নদী খনন করে তাহলে এ ধরনের আয়োজন আরো ভালোভাবে করা সম্ভব।
বাইচ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা আব্দুর সাত্তার বলেন, আগে এই নদীতে বাইচ প্রতিযোগিতা হতো। এখন তা অনেকটা হারিয়ে গেছে। অনেকদিন পর আবারো প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পেরে খুবই খুশি আমি।
- শিশু হত্যাকারীদের কঠোর সাজা হবে : প্রধানমন্ত্রী
- জামায়াত জোটে থাকলে বিএনপির কোনো আন্দোলন হবে না : জাফরুল্লাহ
এ ব্যাপারে আয়োজক ধোপাঘাটা-গোবিন্দপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর বলেন, আবহমান গ্রাম-বাংলার কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও নিজস্বতা ধরে রাখতে আর স্বল্প আয়ের মৎস্যজীবীদের একটু আনন্দ দিতে এই আয়োজন।
সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলা এ প্রতিযোগিতায় সবাইকে হারিয়ে প্রথম হয় মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুর সাত্তার। পরে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার হিসেবে দেয়া হয় মোবাইল, লাইট ও ছাতা।