দেশের অর্থনীতি সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে : অর্থমন্ত্রী

মত ও পথ প্রতিবেদক

দেশের অর্থনীতি সুবিধাজনক অবস্থানে
ছবি : সংগৃহিত

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল দেশের অর্থনীতি সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে জানিয়ে বলেছেন, চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের প্রভাবে সারাবিশ্বের অর্থনীতিতে নিম্নমুখিতা দেখা দিয়েছে। এতে চীনের প্রবৃদ্ধি ১৪ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে ৭ শতাংশে নেমে গেছে, কিন্তু বাংলাদেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের প্রবৃদ্ধি বাড়ছে। এটাকে কোনো কল্পকাহিনির মতো মনে হলেও এটাই বাস্তবতা।

ওয়াশিংটনে আইএমফের দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্ট উয়িং শেফার, ভারত, শ্রীলংকা, ভুটানের নিবাহী পরিচালক অপর্ণা সুভ্রামনি, ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সিতারমন ও আইএমএফের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মিথসুহিরো ফুরুসাওয়ার সঙ্গে বৃহস্পতিবার সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে আজ শুক্রবার পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, গত দুই দশকে পৃথিবীতে কয়েকবার অর্থনৈতিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছিল। ১৯৯৭ সালে সারাবিশ্বে যে মহা অর্থনৈতিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছিল তাতে ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়াসহ এশিয়ার বেশ কিছু দেশ চরম অবস্থায় পতিত হয়। আর ২০০৮ সালের বিপর্যয়ে খোদ আমেরিকাসহ অনেক দেশে চরম অবস্থার সৃষ্টি হয়। কিন্তু তখনও আমাদের অর্থনীতি বিপর্যের সম্মুখীন হয়নি।

তিনি বলেন, আমাদের প্রবৃদ্ধি বাড়ছে। এটাকে কোনো কল্প-কাহিনির মতো মনে হলেও এটাই বাস্তবতা। এতে সবচেয়ে বড় অবদান বাংলাদেশের মানুষের। কেননা আমাদের উৎপাদন আর চাহিদা আমাদের নিজেরাই তৈরি করি। ফলে আমাদের আর্থিক খাতে এই মুহূর্তে কোনো রকম ঝুঁকি নেই।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ বাংলাদেশের অর্থনীতির ভূয়সী প্রশংসা করেছে। আমাদের অগ্রগতি দেখে তারা অভিভূত। অন্য দেশগুলোর কাছে আমাদেরকে তারা ইতিবাচকভাবে উপস্থাপন করেছে। আইএমএফে তাদের আউটলুকে বলেছে এ বছর শেষে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ। যদিও এটি আমাদের প্রক্ষেপণ থেকে বেশ কম তারপরও আইএমএফের ইতিহাসে অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় এটি এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের অর্থ বিভাগের সচিব আবদুর রউফ তালুকদার, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মনোয়ার আহমেদ, বিশ্বব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া এবং ওয়াশিংটনে নিযুক্ত ইকনোমিক মিনিস্টার সাহাবুদ্দিন পাটোয়ারী।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে