অ্যাডিলেডে প্রথম টি-টোয়েন্টিতেই ব্যাট হাতে জ্বলে উঠলো অস্ট্রেলিয়া। নিজের জন্মদিনে ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারের ব্যাটে রীতিমত ঝড় বয়ে গেলো। তার অনবদ্য সেঞ্চুরির ওপর ভর করেই সফরকারী শ্রীলঙ্কার সামনে ২৩৪ রানের বিশাল লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় অস্ট্রেলিয়া।
৫৬ বলে ১০টি চার ও চারটি ছক্কায় অপরাজিত ১০০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন তিনি।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ৯৯ করেই হার মানে লঙ্কানরা।
১৩৪ রানের বড় ব্যবধানে জয় পায় অস্ট্রেলিয়া, যা নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জয় অস্ট্রেলিয়ার।
২০১৮ সালে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১০০ রানের জয়টি ছিল অজিদের রানের দিক থেকে সবচেয়ে বড় জয়।
আজ ওর্য়ানারের জন্মদিনে সে রেকর্ড ভাঙল অজিরা। নিজের ৩৩তম জন্মদিনে এর থেকে হয়তো ভালো উপহার আর হতেই পারে না ওয়ার্নারের জন্য।
তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে রোববার (২৭ অক্টোবর) অ্যাডিলেড ওভালে টসে জিতে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাটিং করতে পাঠায় শ্রীলঙ্কা। এদিন কাসুন রাজিথা বাজে বোলিংয়ের রেকর্ড গড়েন।
৪ ওভারে বিনা উইকেটে ৭৫ রান দেন তিনি যা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সবচেয়ে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড। ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চের সঙ্গে মাত্র ১০.৫ ওভারে ১২২ রানের জুটি গড়েন ওয়ার্নার। অধিনায়ক ফিঞ্চ ৩৬ বলে ৮টি চার ও তিনটি ছক্কায় ৬৪ করে লক্ষণ সানদাকানের বলে বিদায় নেন।
গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে আরও ১০৭ রানের জুটি গড়েন ওয়ার্নার। ম্যাক্সওয়েল ২৮ বলে ৭টি চার ও তিনটি ছক্কায় ৬২ করেন। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ২৩৩ রানের পাহাড়সম স্কোর করে অজিরা।
২৩৪ রানের টার্গেটে নেমে অজি বোলারদের তোপের মুখে শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যানদের কেউ দাঁড়াতে পারেনি। সর্বোচ্চ মাত্র ১৭ রান আসে দাসুন শানাকার ব্যাট থেকে। সবাই মিলে ওয়ার্নারের সমান রানও করতে পারেননি।
স্পিনার অ্যাডাম জাম্পার ঘূর্ণিতে ধরাশায়ী হয় শ্রীলংকার ব্যাটসম্যানরা। তিনটি উইকেট নেন। এছাড়া মিচেল স্টার্ক ও প্যাট কামিন্স দুটি করে উইকেট তুলে নেন।
অজি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার রোববার তার ক্যারিয়ারের ৭১ ম্যাচে প্রথম সেঞ্চুরি করলেন। আর্ন্তজাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১৩টি হাফসেঞ্চুরি রয়েছে তার। অবশ্য আন্তর্জাতিকের বাইরে ৭টি টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি করেছেন ওয়ার্নার।