‘বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক চুক্তিতে স্বার্থবিরোধী কিছু নেই’

নিজস্ব প্রতিবেদক

জিএম কাদের
জিএম কাদের । ফাইল ছবি

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর সম্প্রতি ভারত সফর ও সেখানে সম্পাদিত দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সম্পর্কে কিছু বিরূপ আলোচনা চোখে পড়েছে। এই বিষয়ে যৌথ বিবৃতি ও উল্লেখিত চুক্তি সমূহের তালিকা দেখেছি। সেখানে দেশের স্বার্থবিরোধী কিছু চোখে পড়েনি। প্রধানমন্ত্রীর দেশপ্রেমের প্রতি আমরা আস্থাশীল।

আজ রবিবার রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের অফিসে দলটির সাংগঠনিক টিমের যৌথ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

universel cardiac hospital

জিএম কাদের বলেন, বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যাকাণ্ডে আমরা তীব্র নিন্দা জানিয়েছি। হত্যাকারীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের বিচার যেন সঠিকভাবে সম্পন্ন হয় ও দোষী ব্যক্তিরা যেনো দৃষ্টান্তমূলক শান্তি পায়, আমরা সেটাই চাই। আমরা প্রত্যাশা করি এ ধরনের ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না হয়।

তিনি বলেন, দেশে এখন দুর্নীতিবিরোধী শুদ্ধি অভিযান চলছে। আমি প্রধানমন্ত্রীর এই সাহসী পদক্ষেপকে অভিনন্দন জানাই। তিনি নিজ দলের মানুষকেও ছাড় দেননি। আশা করি, এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। আওয়ামী লীগ এ বিষয়ে তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বর্ণিত অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করবে।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, দেশে রাজনৈতিক শূন্যতা আছে। সামাজিক অস্থিরতা বিরাজ করছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও অস্থিরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে আমরা সুশৃঙ্খলভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। যাতে করে শক্তিশালী সংগঠনের মাধ্যমে জনপ্রত্যাশিত রাজনীতি দিয়ে আমরা অধিকতর জনসমর্থন ও আস্থা লাভ করতে পারি।

এ সময় জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, জাতীয় নির্বাচনের বাকি আরও চার বছর। এর মধ্যেই আগামী নির্বাচনের জন্য আমাদের সংসদীয় আসনগুলোতে লক্ষ্য রেখে পরিকল্পিতভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হবে। জনপ্রিয় প্রার্থী নির্বাচন করে এখন থেকেই সভা-সমাবেশ করে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আদর্শ ও কর্মসূচিগুলো সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরব। সম্মিলিতভাবে ওই আসনগুলোতে জাতীয় পার্টি ও অঙ্গ-সংগঠনগুলো আরও শক্তিশালী করতে হবে।

তিনি বলেন, দেশের আগামী দিনের রাজনীতিতে জাতীয় পার্টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

এ সময় জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক টিমের যৌথসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগের আহ্বায়ক কাজী ফিরোজ রশীদ, সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক- জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলু, সমন্বয় কমিটির সদস্য সচিব- মো. আবুল কাশেম, ঢাকা বিভাগের আহ্বায়ক সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, বরিশাল বিভাগের আহ্বায়ক গোলাম কিবরিয়া টিপু এমপি, রাজশাহী বিভাগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, রংপুর বিভাগের আহ্বায়ক মুজিবুল হক চুন্নু, খুলনা বিভাগের আহ্বায়ক সাহিদুর রহমান টেপা, সদস্য সচিব সুনীল শুভ রায়, ময়মনসিংহ বিভাগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফখরুল ইমাম, সিলেট বিভাগের আহ্বায়ক লে. জে. (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য সচিব এটিইউ তাজ রহমান।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে