জাতীয় পার্টিতে (জাপা) দুর্নীতিবাজ নেই বলে দাবি করে দলটির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের বলেছেন, দেশের রাজনীতিতে আগামী দিনে জনগণের ম্যান্ডেট পেতে জাতীয় পার্টির উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে।
আজ সোমবার রাজধানীর গুলশান-১ সার্কেলের ইমানুয়েলস মিলনায়তনে জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর উত্তরের প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জি এম কাদের বলেন, জাতীয় পার্টি হচ্ছে জনগণের প্রত্যাশা পূরণের দল। দেশের মানুষ তাকিয়ে আছে জাতীয় পার্টির দিকে। যারা দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করবে, তাদের মূল্যায়ন করা হবে। দেশের তিনটি প্রধান বড় দলের মধ্যে জাতীয় পার্টি একটি। জোটবদ্ধ নির্বাচনের সংস্কৃতিতে জাতীয় পার্টি জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করেছে, কিন্তু শক্তিশালী বিরোধী দল গঠনের লক্ষ্যেই আমরা সরকারে যাইনি। আমরা সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করে সরকারের ভুল-ত্রুটি ধরিয়ে দিচ্ছি।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ আমাদের সব প্রেরণার উৎস। বাংলাদেশের উন্নয়নের ইতিহাস থেকে পল্লীবন্ধুর অবদান কখনই মুছে ফেলা যাবে না। আমরা পল্লীবন্ধুর স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ গড়তে কাজ করে যাচ্ছি। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্বপ্ন প্রাদেশিক সরকার গঠন ও ভোটের অনুপাতিক হারে সংসদীয় প্রতিনিধি নির্বাচনের কর্মসূচি নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
দলকে আরও শক্তিশালী করতে নেতাকর্মীদের প্রতি এ সময় আহ্বান জানান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, জাতীয় পার্টিতে কোনো বিভেদ নেই, জাতীয় পার্টি গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। ১৯৯৬ সালে জাতীয় পার্টির সমর্থন পেয়ে আওয়ামী লীগ ২১ বছর পরে সরকার গঠন করতে পেরেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ তৃণমূল পর্যায়ে জাতীয় পার্টির সাথে খারাপ আচারণ করেছে।
বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গিয়ে পল্লীবন্ধুকে জেলখানায় ১২ দিন মাটিতে শুতে দিয়েছিল। নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার করেছে। এখন বিএনপি তাদের কৃত অপরাধের প্রায়শ্চিত্ত করছে।
জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর উত্তরের প্রতিনিধি সভায় প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি এস এম ফয়সল চিশতীর সভাপতিত্বে প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নুরু, বাহাউদ্দিন আহমেদ বাবুল, পল্লবী থানার সভাপতি আমানত হোসেন আমানত, মীরপুর থানার সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, দারুস সালাম থানার সভাপতি হাসান হামিদ, শাহ আলী থানার সভাপতি মাহফুজ মোল্লা, কাফরুল থানার সভাপতি শামসুল হক, রামপুরা থানার সভাপতি কাজী আবুল খায়ের প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।