কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিতর্কিত ব্যবসায়ী ও চলচ্চিত্র প্রযোজক আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করেছে ।
এর ফলে আগামি ৩০ দিন আজিজ মোহাম্মদ ব্যাংক হিসাবগুলোতে কোনো ধরনের লেনদেন করতে পারবেন না। প্রয়োজনে স্থগিতের মেয়াদ আরও বাড়ানো যাবে।
আজ সোমবার বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) তার হিসাব স্থগিত করতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোতে চিঠি দেয়। বিএফআইইউ’র একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
চিঠিতে শাহেদুল হক নামে আরও এক ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব স্থগিত ও হিসাবের সব ধরনের তথ্য তলব করা হয়েছে। যা ৩০ অক্টোবরের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠাতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, ওইসব ব্যক্তির নামে বা তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে কোনো হিসাব অতীতে বা বর্তমানে থাকলে সেগুলোর যাবতীয় কাগজপত্রসহ হিসাব খোলার ফর্ম, কেওয়াইসি, শুরু থেকে হালনাগাদ লেনদেন বিবরণী পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আজিজ মোহাম্মদ ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট হিসাবগুলোতে এখন থেকে কোনো লেনদেন করা যাবে না। মানি লন্ডারিং আইন অনুযায়ী ৩০ দিন হিসাবগুলো স্থগিত থাকবে। এরপর প্রয়োজন মনে করলে বিএফআইইউ এর মেয়াদ আরও বাড়াতে পারবে।
এর আগে ২৭ অক্টোবর রাজধানীর গুলশানে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের বাসায় অভিযান চালায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। সেখানে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য ও ক্যাসিনোর সরঞ্জাম পাওয়া যায়। সে সময় দুইজনকে আটক করা হয়।
অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ ও এমবি ফার্মাসিউটিক্যালসের মালিক আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের বেশি পরিচিতি চলচ্চিত্র প্রযোজক হিসেবেই। এমবি ফিল্মসের কর্ণধার তিনি। চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী ও সালমান শাহ হত্যাকাণ্ডে জড়িত হিসেবে তার নাম এসেছিল।
শেয়ার কেলেঙ্কারির এক মামলায় গত বছর আজিজ মোহাম্মদ ভাইকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি করেছিল পুঁজিবাজার বিষয়ক ট্রাইব্যুনাল। তার আগ থেকেই তিনি বিদেশে অবস্থান করছেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের আমলে প্রথম গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তাকে।
তিনি সপরিবারে থাইল্যান্ডে থাকেন। তার স্ত্রী নওরীন দেশে এসে ব্যবসা দেখাশোনা করেন। অভিযোগ রয়েছে, থাইল্যান্ডে থেকেই বাংলাদেশে মাদকের ব্যবসা পরিচালনা করেন তিনি।