আমি চরমভাবে দুঃখিত : সাকিব

ক্রীড়া প্রতিবেদক

সাকিব আল হাসান
সাকিব আল হাসান। ফাইল ছবি

জুয়াড়ির কাছ থেকে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পাওয়া এবং সেটি আইসিসিকে না জানানোর অপরাধে ২ বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হলেন সাকিব আল হাসান।

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।

তবে সাকিব তিনটি অভিযোগ স্বীকার করায় তার দুই বছরের মধ্যে এক বছরের শাস্তি স্থগিত। অর্থাৎ, তাকে শাস্তি ভোগ করতে হবে ১ বছর। সাকিব যদি ভবিষ্যতে আবার একই ধরনের অপরাধ করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে স্থগিত নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।

সাকিব আল হাসান বলেছেন, আমি যে খেলাকে চরমভাবে ভালোবাসি তা থেকে নিষিদ্ধ হওয়ায় চরমভাবে দুঃখিত। আমি নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরিভাবে মেনে নিচ্ছি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কাজ করার জন্য আইসিসি খেলোয়াড়দের উপর নির্ভর করে। এক্ষেত্রে আমি আমার দায়িত্ব পালন করিনি।

তিনি আরও বলেছেন, বিশ্বের অধিকাংশ খেলোয়াড় ও ফ্যানদের মতো আমিও দুর্নীতিমুক্ত খেলা চাই। আমি আইসিসি এসিইউ টিমের সাথে কাজ করব। তাদের এডুকেশন প্রোগ্রামকে সমর্থন দিয়ে যাব এবং নিশ্চিত করব যে, তরুণ ক্রিকেটাররা যেন এই ধরনের ভুল না করে।

আইসিসির নিয়মানুযায়ী যদি খেলোয়াড় দোষ স্বীকার করে নেন তাহলে আর ট্রাইব্যুনাল গঠন করে শুনানির প্রয়োজন হয় না। তাই সাকিব তার দোষ স্বীকার করে নেয়ায় আর ট্রাইব্যুনাল গঠনের প্রয়োজন হয়নি। সাকিব যদি পরবর্তী সমযে আবার এমন অপরাধ না করেন এবং তার সার্বিক কার্যক্রম আইসিসির কাছে সন্তোষজনক মনে হয় তাহলে তিনি ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর খেলায় ফিরতে পারবেন।

এ বিষয়ে আইসিসির মহাব্যবস্থাপক অ্যালেক্স মার্শাল বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, সাকিব আল হাসান একজন অভিজ্ঞ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। আইসিসির করা অনেক দুর্নীতি বিরোধী প্রোগ্রামে উপস্থিত ছিলো সে। সকল নিয়মকানুন ভালোই জানা রয়েছে তার। তবুও সে তিনটি প্রস্তাবের কথা গোপন রেখেছে। এসব বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবেই জানানো উচিৎ ছিল।

আইসিসির মহাব্যবস্থাপক আরও বলেন, সাকিব তার নিজের ভুলগুলো মেনে নিয়েছে এবং তদন্তের স্বার্থে সম্পূর্ণ সহায়তা করেছে। এমনকি ভবিষ্যতে অ্যান্টি করাপশন ইউনিটের সঙ্গে কাজ করার প্রস্তাব দিয়েছে। যাতে করে তরুণ খেলোয়াড়রা এ ভুল করতে না পারে। আমি তার এই প্রস্তাবে খুশি।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে