রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থী ফিরোজ কবির গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের তৃতীয় বর্ষে (২০১৬-১৭) শিক্ষার্থী। বাড়ি গাইবান্ধা জেলায়।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় পার্শ্ববর্তী আমজাদের মোড় এলাকার রাজু ছাত্রাবাস থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে মতিহার থানা পুলিশ। প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যা বলে জানিয়েছেন তারা।
মেসে অবস্থানকারী শিক্ষার্থীরা জানান, ঘরের দরজা খুলছিলেন না ফিরোজ কবির। অনেক ডাকাডাকির পর উপায় না দেখে মতিহার থানা পুলিশকে বিষয়টি জানান তারা। পরে পুলিশ এসে ঘরের দরজা ভেঙে শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে।
মতিহার থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, ঘরের মধ্যে ফ্যানের সঙ্গে দড়ি দিয়ে ফাঁস দেয়া এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান বলেন, ঘটনাটি শুনে আমি ঘটনাস্থলে যাই। ছেলেটির পরিবারের সঙ্গে কথা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে তাদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
এদিকে নিহত ফিরোজের সহপাঠী রেজাউল করিম বলেন, সকাল সাড়ে ৯টায় তার সঙ্গে সর্বশেষ কথা হয়। আগামীকাল পরীক্ষা শুরু হবে কিন্তু ও বলেছিল পরীক্ষা দেবে না। শুনে ভাবছিলাম হয়তো মজা করে বলছে। এমন একটি ঘটনা ঘটাবে বিশ্বাসই করতে পারছি না।
ফিরোজের বন্ধু জহুরুল ইসলাম ইমন জানান, বিভাগের মেধাতালিকায় দ্বিতীয় আছে ফিরোজ। পড়ালেখা নিয়ে ব্যস্ত থাকত। বাবা নেই ওর। সবার সঙ্গে ততটা মিশত না।