প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘গত নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি’ ১৪ দলের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা রাশেদ খান মেননের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন।
তিনি বলেন, তিনি ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন না, কারণ তিনি নিজেও ওই ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। তবে মেনন এ ব্যাপারে দুঃখ প্রকাশ করায় এখন আর কোনো বক্তব্য থাকতে পারে না বলে জানান ১৪ দলীয় জোটের প্রধান।
আজ মঙ্গলবার বিকালে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে মেননের বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের এক নেতা হয়ত একটা কথা বলেছেন। তার মনে হয়ত একটা ক্ষোভ, দুঃখ থাকতে পারে। তিনি জেনে হোক বা না জেনেই হোক তাকে একটা ক্লাবের চেয়ারম্যান করা হয়েছে। সেটা নিয়ে অনেক কথা আসছে। কিন্তু তিনি হয়তো ভুলে গেছেন, এই নির্বাচনে তিনিও নির্বাচিত হয়ে এসেছেন। নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুললে তিনিও বিতর্কিত হয়ে পড়েন।
শেখ হাসিনা বলেন, এ বিষয়ে জোটের মুখপাত্র নাসিম সাহেব আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে আমি বলেছি, এ বিষয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই।
গত নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জনগণ যদি ভোট না দিত, আমাদের পক্ষে না থাকতো, তাহলে আমাদের সমর্থন থাকতো না। তাদের (বিএনপি) ভোটবিহীন নির্বাচনের বিরুদ্ধে আমরা গণআন্দোলন গড়ে তুলতে পেরেছিলাম। আমাদের জনসমর্থন ছিল। এবারের নির্বাচনের পর জনগণ, ব্যবসায়ীসহ সর্বস্তরের মানুষ আমাদের সমর্থন দিয়েছেন। শুধু আওয়ামী লীগের না, বিএনপির ব্যবসায়ীরাও আমাদের সমর্থন দিয়েছেন। কারণ আমরা সবার কাজ করার সুযোগ করে দিতে পেরেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছাত্র আন্দোলন থেকে তিনি (রাশেদ খান মেনন) এমন আচরণ করছেন। স্বাধীনতার আগে বলেছেন ভোটের বাক্সে লাথি মারো বাংলাদেশ স্বাধীন করো, পরে ইন্দিরা-মুজিব আমলে স্থলসীমানা চুক্তির সময় বলেছেন বেলুবাড়ি বেচে দিলো, এমন কথা তিনি অনেক বলেছেন।
মেনন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, কিছু কিছু রাজনীতিবিদ আছেন তারা কথা বলেন। এটা তো আপনাদের জন্য ভালো। কারণ লেখার খোরাক পান। তবে এখন তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের উন্নয়ন করে। আমরা ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশের উন্নয়ন হয়। বাংলাদেশের সম্মান ফিরে এসেছে। ন্যাম সম্মেলনে যাওয়ার পর সবাই বাংলাদেশের প্রশংসা করেছেন। সেখানকার প্রবাসীদের সঙ্গেও কথা হয়েছে। তারা বলেছেন তারা ভালো আছেন। বাংলাদেশের উন্নয়নে তারা খুশি। তাই কারো কথায় কিছু যায়-আসে না।