আগামী ৫ নভেম্বর অনলাইনের মাধ্যমে প্রবাসীদের ভোটার নিবন্ধন শুরু হবে। প্রথমে মালয়েশিয়ায় থাকা প্রবাসীরা এ সুযোগ পাচ্ছেন। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য দেশের প্রবাসীদেরও অনলাইনের মাধ্যমে ভোটার করা হবে।
ঢাকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভোটার নিবন্ধনের এ কাজ ৫ নভেম্বর উদ্বোধন করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমদ মালয়েশিয়ার পুত্রাজায়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসে উপস্থিত থেকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। নির্বাচন কমিশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এ বিষয়ে ইসি সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব ও এনআইডি অনুবিভাগের পরিচালক (অপারেশন্স) আবদুল বাতেন মঙ্গলবার মত ও পথকে বলেন, আমরা অনলাইনে নিবন্ধনের মাধ্যমে প্রবাসীদের ভোটার করার পদক্ষেপ নিয়েছি। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর বাংলাদেশ দূতাবাস ইসিকে সহযোগিতা করবে।
তিনি বলেন, মালয়েশিয়া ছাড়াও যুক্তরাজ্য, দুবাই ও সৌদি আরবের প্রবাসীরা এ সুযোগ পাবেন। পরে পর্যায়ক্রমে অন্যান্য দেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিরাও এ সুযোগ পাবেন।
ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রবাসীদের ভোটার হওয়ার জন্য শুরুতে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। ইসি থেকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এ আবেদন করতে হবে। সেই আবেদন বৈধ বিবেচিত হওয়ার পর ইসির কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট দেশে গিয়ে আবেদনকারীদের ভোটার করে নেবেন।
প্রবাসীরা services.nidw.gov.bd। ওয়েবসাইটে গিয়ে ভোটার হিসেবে নিবন্ধনের আবেদন করতে পারবেন। ওয়েবসাইটটির ঠিকানা আবেদনের পর সেসব আবেদন সঠিক কি না, ইসি তা কেন্দ্রীয়ভাবে যাচাই করবে। যাচাই–বাছাই শেষে ইসির কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট দেশে গিয়ে যোগ্য ও সঠিক আবেদনকারীদের ছবি তোলাসহ ফিঙ্গার প্রিন্ট ও চোখের মনির ছাপ (আইরিশ) গ্রহণ করবেন।
জানা গেছে, এ জন্য ইতোমধ্যে ভোটার তালিকা বিধিমালায় প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা হয়েছে। বিধিমালায় বলা হয়েছে, বিদেশে বসবাসরতরা সেই দেশে ইসির স্থাপিত নিবন্ধন কেন্দ্রে গিয়ে কিংবা অনলাইনে ভোটার হওয়ার আবেদন করতে পারবেন।
- ভারত সফর : টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়ক রিয়াদ, টেস্টে মুমিনুল
- আমি চরমভাবে দুঃখিত : সাকিব
- মেননও কিন্তু ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনেই বিজয়ী : প্রধানমন্ত্রী
এ ক্ষেত্রে তিনি সর্বশেষ যে এলাকায় বসবাস করেছেন বা নিজের অথবা বাবার বাড়ির ঠিকানায় ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে। পরে তার আবেদন সেই এলাকার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার মাধ্যমে তদন্তের পর ১০ আঙুলের ছাপ, চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি ও ভোটারের ছবি তুলে এনআইডি সরবরাহ করা হবে।
এর আগের রেজিস্ট্রেশন কেন্দ্রে ও ইসির ওয়েবসাইটে দাবি-আপত্তির জন্য তালিকা দেয়া হবে। এ সময়ের মধ্যে কোনো ভুল থাকলে তা সংশোধন করা যাবে।