ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত হত্যা মামলার ২ হাজার ৩২৭ পাতার মৃত্যুদণ্ডাদেশের রায়ের কপি (ডেথ রেফারেন্স) লাল কাপড়ে মুড়িয়ে ফেনীর আদালত থেকে হাইকোর্টে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের আদালত থেকে মৃত্যুদণ্ডাদেশের নথি পুলিশের বিশেষ নিরাপত্তায় হাইকোর্টের আপিল বিভাগে পাঠানো হয়।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামনুর রশিদের সংশ্লিষ্ট আইনের ৪(১)/৩০ ধারায় দেয়া মৃত্যুদণ্ডের রায় অনুমোদনের জন্য নথি ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা মোতাবেক ডেথ রেফারেন্স আকারে হাইকোর্টে পাঠানো হয়।
নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার মামলায় গত ২৪ অক্টোবর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মামুনুর রশিদ ১৬ আসামির সবাইকে মৃত্যুদণ্ড দেন। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। এই টাকা আদায় করে নুসরাতের পরিবারকে দেওয়ার আদেশ দেয় আদালত।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন- সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলা, নূর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, সোনাগাজী পৌরসভার কাউন্সিলর মাকসুদ আলম, সাইফুর রহমান মোহাম্মদ জোবায়ের, জাবেদ হোসেন ওরফে সাখাওয়াত হোসেন জাবেদ, হাফেজ আবদুল কাদের, আবছার উদ্দিন, কামরুন নাহার মনি, উম্মে সুলতানা ওরফে পপি ওরফে তুহিন ওরফে শম্পা ওরফে চম্পা, আবদুর রহিম শরীফ, ইফতেখার উদ্দিন রানা, ইমরান হোসেন ওরফে মামুন, মোহাম্মদ শামীম, মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সহসভাপতি রুহুল আমীন ও মহিউদ্দিন শাকিল।
- ভারত সফর : টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়ক রিয়াদ, টেস্টে মুমিনুল
- মেননও কিন্তু ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনেই বিজয়ী : প্রধানমন্ত্রী
ফেনীর সোনাগাজীর ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাতকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠলে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলা বিরুদ্ধে মামলা করেন নুসরাতের পরিবার। মামলা তুলে না নেওয়ায় গত এপ্রিলে সিরাজের হুকুমে নুসরাতকে মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় আসামিরা। পরে ঢাকা মেডিকেলে চিৎিসাধীন অবস্থায় মারা যায় নুসরাত।