দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে ছয় নির্বাহী প্রকৌশলীসহ গণপূর্ত অধিদপ্তরের ১১ কর্মকর্তার দেশ ছাড়ায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
আজ বুধবার পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) ইমিগ্রেশন সুপারের কাছে চিঠি পাঠিয়ে তাদের দেশত্যাগ ঠেকাতে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
গণপূর্ত অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তারা হলেন- অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী উৎপল কুমার দে, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল মোমেন চৌধুরী ও রোকন উদ্দিন, নির্বাহী প্রকৌশলী স্বপন চাকমা, মোহাম্মদ শওকত উল্লাহ, মোহাম্মদ ফজলুল হক, আব্দুর কাদের চৌধুরী, আফসার উদ্দিন ও ইলিয়াস আহমেদ, কর্মকর্তা সাজ্জাদুল ইসলাম ও জ্যেষ্ঠ সহকারী মুমিতুর রহমান।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন, অভিযোগের অনুসন্ধান দলের প্রধান দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন সই করা চিঠিতে তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
চিঠিতে বলা হয়, সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দেশে মানিলন্ডারিংসহ বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধানে বিষয়টির প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। তারা দেশ ছেড়ে অন্য দেশে যাওয়ার বিষয়ে বিশ্বস্ত সূত্র থেকে তথ্য পাওয়া গেছে।
- দুর্নীতিবিরোধী অভিযান : ব্যাংক হিসাব জব্দ ব্যক্তিদের তালিকা চেয়েছে দুদক
- বিস্ফোরণের আগে সতর্ক করলেও পাত্তা দেননি বেলুন বিক্রেতা
এর আগে গত ২৩ ও ২৪ অক্টোবর তিন সংসদ সদস্যসহ ২৩ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে দুদক। ১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এর পরপরই অবৈধ সম্পদের তথ্য খতিয়ে দেখতে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।
ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে অনুসন্ধান দলের অপর সদস্যরা হলেন- উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম, সালাউদ্দিন আহমেদ, সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী ও মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী।
এদিকে বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে আরও চার শতাধিক ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছে দুদক।