কাশ্মীরকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করার পর নতুন করে ভারতের প্রকাশিত মানচিত্রটি প্রত্যাখ্যান করেছে পাকিস্তান।
আজ রোববার দেশটির পররাষ্ট্র দফতর এক বিবৃতিতে ভারতের প্রকাশিত নতুন ‘রাজনৈতিক’ মানচিত্রটি প্রত্যাখ্যান করে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ড. ফয়সাল জানান, ভারত জম্মু ও কাশ্মীর অঞ্চল প্রদর্শনের পাশাপাশি গিলগিত-বালতিস্তান এবং আজাদ কাশ্মীরের কিছু অংশকে আঞ্চলিক এখতিয়ারের মধ্যে চিত্রিত করার চেষ্টা করেছে।
২ নভেম্বর ভারতের প্রকাশ করা মানচিত্র ‘ভুল এবং এর কোনো আইনগত ভিত্তি নেই বলেও পাক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দাবি করেছে। এটিকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের প্রস্তাবসমূহের সম্পূর্ণ লঙ্ঘন হিসেবে দেখছে দেশটি।
ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শনিবার জম্মু ও কাশ্মীরে সদ্য ঘোষিত কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং লাদাখের সীমানা সম্পর্কিত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
বিজ্ঞপ্তিটিতে ভারতের একটি নতুন রাজনৈতিক মানচিত্রও রয়েছে, যার মধ্যে এখন পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
দেশের নতুন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে গঠন হওয়া এবং এগুলোর প্রথম লেফটেন্যান্ট গভর্নরের শপথগ্রহণের দুদিন পর এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলো।
গত বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
গত ৫ আগস্ট ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু-কাশ্মীরকে দ্বিখণ্ডিত করে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছিল মোদি সরকার।
ভারতের নতুন মানচিত্রে আছে ২৮টি অঙ্গরাজ্য ও ৯টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল।
ভারতের কেন্দ্রশাসিত ৯টি অঞ্চল হলো- আন্দামান ও নিকোবর, চণ্ডীগড়, দমন ও দিউ, দাদর ও নগর হাভেলি, দিল্লি, জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ, লাক্ষাদ্বীপ ও পুদুচেরী।
আর রাজ্যগুলো হলো- অন্ধ্রপ্রদেশ, অরুণাচল প্রদেশ, আসাম, বিহার, ছত্তীসগড়, গোয়া, গুজরাট, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, কর্ণাটক, কেরালা, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র,মণিপুর, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, ওড়িশা, পাঞ্জাব, রাজস্থান, সিকিম, তামিলনাড়ু, তেলঙ্গানা, ত্রিপুরা,উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গ।