বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বিভিন্ন সভা-সমাবেশে ফ্রন্টের শীর্ষ নেতাদের বক্তব্যের সময় খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে চিরকুট পাঠিয়ে এ বিষয়ে বক্তব্য রাখার অনুরোধ জানানো নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
গয়েশ্বর বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য তাদের (ফ্রন্টের শীর্ষ নেতা) কেন মঞ্চে চিরকুট দিতে হবে? বেগম জিয়ার মুক্তি কথা তারা কেন বলতে পারবে না? আর যার বিরুদ্ধে আমরা রাজনীতি করি তাদের কথা জোরেশোড়ে আমাদের সামনে কেন বলা…। তার আমরা সহ্য করি কেন? শুধু করি- জাতীয় ও জনগণের স্বার্থে। এ কারণে আমি মনে করি, সবাইকে একটু সতর্ক হওয়া ভালো।
বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ঢাকাস্থ হোমনা উপজেলা জাতীয়তাবাদী ফোরাম আয়োজিত এক স্মরণসভা ও মিলাদ মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ারের ২য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে গয়েশ্বর বলেছেন, বিএনপি একটি শক্তি। কারণ বিএনপি জনগণের কথা বলে। আর বিএনপির নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তার মুক্তির জন্য আমরা, যাদেরকে (জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট) নিয়ে চলি, তাদের মধ্যে যদি অনীহা থাকে তাহলে তো তাদের সঙ্গে দীর্ঘ পথ চলা ক্ষতিকর।
তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি, যদি আমরা আন্তরিকতার সঙ্গে মাঠে থাকি তাহলে আমাদের শক্তিই যথেষ্ট। সেই কারণে যারা (জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট) আছে তাদের সম্মান করি ও গুরুত্ব দেই। কিন্তু তারা যদি আমাদের ঘাড়ে চেপে তাদের নিজস্ব টার্গেট নিয়ে চলতে চায়, সেই পথে চলা তাহলে আমাদের জন্য বোকামি হবে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে গয়েশ্বর বলেন, আমার মাঝে মাঝে মনে হয়, আমাদের নিজেদের মধ্যে নিজেদের আত্মবিশ্বাস নেই। তারপরও জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার তাগিদ থেকে ছোট, বড় ও মাঝারি দলসহ অনেক দল নিয়ে ঐক্য করেছি। আবার ফ্রন্টও করেছি। এটা কিন্তু আমাদের রাজনৈতিক অলঙ্কার হতে পারে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস-চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ বক্তব্য দেন। এ ছাড়া গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।