সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। বঙ্গোপসাগর উপকূলে দুপুর ১২টা থেকে ঝড়ো হাওয়া শুরু হলেও শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের অগ্রবর্তী অংশ সুন্দরবনের সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাট অংশে আঘাত হানতে শুরু করেছে।
একই সঙ্গে বেড়েছে ৪ থেকে ৫ ফুট পানির উচ্চতা। এখন ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের অগ্রবর্তী অংশ সুন্দরবনের বঙ্গবন্ধু আইল্যান্ড, হিরণ পয়েন্ট, দুবলারচর, মেহের আলীর চর, অফিসকিল্লা, মাঝেরচর, আলোরকোল, মরণেরচরে আছড়ে পড়েছে।
১২০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বইছে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ক্রমেই বাড়ছে ঝড়ের তীব্রতা। তছনছ করে দিয়েছে দুবলারচরের অস্থায়ী শুঁটকিপল্লী।
ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) দুবলারচর ভিএইচএফ স্টেশনের অপারেটর মো. কাশেম এ তথ্য জানিয়েছেন।
দুবলারচর ভিএইচএফ স্টেশনের অপারেটর আরও জানান, বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের দুবলারচরের অস্থায়ী শুঁটকিপল্লী এলাকার আলোরকোল, মেহেরআলীর চর, মাঝেরকেল্লা, অফিসকিল্লা ও শেলারচরে ২২ বছর আগে নির্মিত হওয়া জরাজীর্ণ ৫টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে ৬ হাজারেরও বেশি জেলে আশ্রয় নিতে পেরেছে।
- ঘূর্ণিঝড় বুলবুল : প্রস্তুত নৌ বাহিনীর ১০ যুদ্ধজাহাজ, মেডিক্যাল টিম
- বুলবুলের কারণে ঘরছাড়া দেড় লাখ মানুষের রাতের খাবার খিচু
এ সব আশ্রয় কেন্দ্রে স্থান সংকুলান না হওয়ায় শুঁটকিপল্লীসহ ঝড়ের কারণে সাগর থেকে আসা আরও কয়েক হাজার জেলে নৌযানে করে ছোট ছোট খালে আশ্রয় নিয়েছে। ঝড়ের তীব্রতা বাড়ায় নৌযানে করে সুন্দরবনের খালে আশ্রয় নেয়া জেলেদের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।