বুলবুলের কারণে ঘরছাড়া দেড় লাখ মানুষের রাতের খাবার খিচুড়ি

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

আশ্রয়কেন্দ্রে রাতের খাবার
ছবি : সংগৃহিত

উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে ঘণ্টায় প্রায় ১৫ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসছে।

এটি আরও উত্তর অথবা উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে শনিবার মধ্যরাত নাগাদ পশ্চিমবঙ্গ-খুলনা উপকূল (সুন্দরবনের কাছ দিয়ে) অতিক্রম করতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বইছে।

এ অবস্থায় সাতক্ষীরার আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ১ লাখ ৪৬ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। জেলার ২৭০টি সাইক্লোন শেল্টার ও ১ হাজার ২০০ স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে এসব মানুষকে রাখা হয়েছে। আশ্রিতদের মাঝে রাতের খাবার হিসেবে খিচুড়ি বিতরণ করা হয়েছে। আশ্রিতদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় খাবার সরবরাহ করতে হিমশিম খাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।

উপকূলীয় আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বলেন, ইউনিয়নের ১১টি সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিয়েছেন তিন হাজারের অধিক মানুষ। এসব মানুষের মাঝে সন্ধ্যার আগে শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছিল। রাতের খাবার হিসেবে খিচুড়ি দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি সুপেয় পানি বিতরণ করা হয়েছে।

একই উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিল বলেন, বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিত দুই হাজারের অধিক মানুষের জন্য খিচুড়ি রান্না হচ্ছে। সন্ধ্যায় শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছিল। আশ্রিতরা যেন কোনোভাবে খাবারের কষ্ট না পান সেটি আন্তরিকতার সঙ্গে দেখা হচ্ছে।

উপকূলীয় শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আল মামুন বলেন, সুন্দরবনসংলগ্ন গোলাখালীর দ্বীপের মানুষদের স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আনা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের তত্ত্বাবধানে আশ্রিতদের মাঝে রাতের খাবার হিসেবে খিচুড়ি বিতরণ করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রশান্ত কুমার রায় গণমাধ্যমকে বলেন, জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা রয়েছে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে যেন কোনোভাবে খাবারে কষ্ট না হয় আশ্রিতদের। উপজেলা প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে জেলার আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে শুকনা খাবার ও খিচুড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত জেলায় ১ লাখ ৪৬ হাজার ২০০ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। এত মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের। তবুও সবাইকে সুন্দরভাবে আশ্রয়কেন্দ্রে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেয়া হবে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে