যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিশংসন শুনানি শুরু হয়েছে। আজ বুধবার ক্যাপিটল হিলে মার্কিন কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাট সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রতিনিধি পরিষদের তদন্ত দল এই শুনানি শুরু করে।
টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত এই শুনানির প্রথম দিনে ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম বি টেইলর ও মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জর্জ কেন্ট সাক্ষ্য দিচ্ছেন। শুক্রবার সাক্ষ্য দেবেন ইউক্রেনে নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত মেরি ইভানোভিচ।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন ও তার ছেলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে টেলিফোনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জিলেনস্কিকে চাপ দিয়েছিলেন। এর অংশ হিসেবে তিনি ইউক্রেনে বাৎসরিক মার্কিন সামরিক সহায়তা বন্ধের হুমকি দিয়েছিলেন।
জো বাইডেনের ছেলে ইউক্রেনের গ্যাস কোম্পানি বুরিসমায় এক সময় কাজ করতেন। গত সেপ্টেম্বরে গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র সাবেক এক কর্মকর্তা জিলেনস্কির সঙ্গে ট্রাম্পের এই ফোনালাপ ফাঁস করে দেন। এতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ ওঠে।
বুধবার শুনানিতে সূচনা বক্তব্যের পর ৪৫ মিনিট ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকানরা টেইলর ও কেন্টকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। ডেমোক্রেটরা ট্রাম্পকে অভিশংসনের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য দুই কর্মকর্তাকে তুলোধুনা করার চেষ্টা করলেও রিপাবলিকানরা তাদের দলীয় প্রেসিডেন্টকে যে রক্ষার চেষ্টা করবেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। অর্থাৎ রিপাবলিকানরা ট্রাম্পকে রক্ষার জন্য প্রতিরক্ষামূলক প্রশ্ন করতে পারেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
এর আগে টেইলর জানিয়েছিলেন, সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে তদন্তের ঘোষণা দিতে ইউক্রেনকে চাপ দেওয়ার জন্য মার্কিন সামরিক সহায়তা স্থগিতের হুমকি দিতে বলা হয়েছিল।
শুনানির ওপর ভিত্তি করে ডেমোক্রেট নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিনিধি পরিষদ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করতে পারবে। অভিযোগ গঠিত হলে তখন সিনেট বিচার করবে ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করে তাকে অপসারণ করবে কিনা। তবে রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত সিনেটের ট্রাম্পকে অপসারণের ইচ্ছা নেই বললেই চলে।