পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে কক্সবাজারের টেকনাফে মাহমুদুল হাসান নামে এক রোহিঙ্গা ডাকাত নিহত হয়েছেন।
বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পশ্চিম পাশে পাহাড়ের পাদদেশে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত হাসান নয়াপাড়া শরণার্থী মৌচনী ক্যাম্পের এইচ ব্লকের বাকার আহমেদের ছেলে। তিনি শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডাকাত সর্দার জকিরের ডান হাত।
পুলিশ সূত্র জানায়, অস্ত্র মামলার পলাতক আসামি মাহমুদুল হাসান টেকনাফের শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পশ্চিম পাশে পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থান করছে বলে খবর পায় পুলিশ। পরে কক্সবাজার (সদর) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেদুয়ানের নেতৃত্বে মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, ওসি (তদন্ত) এবিএমএস দোহা ও নয়াপাড়া মোচনী ক্যাম্পের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. মনিরুল ইসলাম ও সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযানে যায়।
পুলিশকে দেখামাত্র ডাকাত দলের সদস্যরা গুলি ছোঁড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। পরবর্তীতে ডাকাত দলের সদস্যরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মাহমুদুল হাসানকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। পরে সেখানে নেওয়া হলে চিকিৎসক হাসানকে মৃত ঘোষণা করেন।
বন্দুযুদ্ধের পর ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, ১৮ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, তিনটি এলজি, ১৩ রাউন্ড শটর্গানের তাজা কার্তুজ ও ১৫ রাউন্ড কার্তুজের খালি খোসা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তারা হলেন, কনেস্টবল মিঠুন জয়, শাহীন ও হাবিব।
নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। এই ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণ করে মামলা করা হবে বলে পুলিশ জানায়।