নারায়নগঞ্জ জেলার বন্দর থানার কদম রসুল পূর্বপাড়া এলাকায় ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আয়োজিত খতমে কোরআন অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ায় ২ ইমামকে মারধরসহ ১০ জনকে লাঞ্ছিত এবং অবরুদ্ধ করে রাখার খবর পাওয়া গেছে।
এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশসহ সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতারা এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় বন্দরের নবীগঞ্জ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত ও লাঞ্ছনার শিকার ইমামরা হলেন- পূর্বপাড়া জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা সামসুদ্দোহা, মাওলানা আমিনুল হক রিপন, হাফেজ আনোয়ার হোসেন, বড়বাড়ি জামে মসজিদের ইমাম ও বন্দর কেন্দ্রীয় ঈদগাহের প্রধান খতিব মাওলানা সোহরাব আলী, নবীগঞ্জ কবরস্থান জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা রবিউল আউয়াল, মাওলানা আ. রহমান, হাফেজ মাওলানা শহীদুল্লাহ, মাওলানা জামির হোসেন, কদম রসুল দরগাহ মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা শরীফুল্লাহ শাহীন ও হাফেজ আমজাদ হোসেন।
ইমামরা জানান, নবীগঞ্জ কবরস্থান কমিটির সভাপতি হাবীব উদ্দিন হাবির বাসায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে খতমে কোরআন ও দোয়ার আয়োজন করেন।
সকালে তারা দাওয়াত পেয়ে হাবি মিয়ার বাসায় কোরআন পড়তে আসেন। এ সময় হাবির ভাই ডালিম, ডালিম মিয়ার ছেলে মুগ্ধ ও অপূর্ব লাঠিসোটা নিয়ে হাবি মিয়ার বাড়িতে প্রবেশ করে ইমামদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ মারধর শুরু করেন এবং ইমামদের জামা কাপড় ছিড়ে ফেলেন।
পরে তারা অবরুদ্ধ অবস্থায় থেকে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেন। তার আগে হামলার সংবাদ পেয়ে এলাকার শত শত লোক ডালিমের বাড়িতে হানা দেয়।
এ সময় ডালিম ও তার ছেলে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশসহ বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা হুমায়ূন কবির মৃধা পরিস্থিতি শান্ত করেন।
এরপর দুপুরে পুলিশের উপস্থিতিতে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এ নিয়ে এলাকায় থমথমে ভাব বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল জানান, ঘটনাটি ন্যক্কারজনক। ইমামরা মেহমান। তাদের ওপর হামলা মেনে নেয়া যায় না। আগামী সোমবার এ বিষয়ে উভয় পক্ষকে নিয়ে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, সংবাদ পাওয়ার পরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছে। এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।