স্বেচ্ছাসেবক লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সেবার মানসিকতা সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, দুর্নীতিবিরোধী শুদ্ধি অভিযান চলমান থাকবে। দুর্নীতির টাকায় কাউকে আয়েশ করতে দেওয়া হবে না।
আজ শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের জাতীয় সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা দেশে শিশু কিশোরদের মাঝে এই সেবার মানসিকতা ছড়িয়ে দিতে হবে। শুধু তাই নয় নিজেরাও একটা সুশৃঙ্খল জীবন-যাপন করতে হবে যাতে শিশু কিশোরদের মাঝে সেবার মানসিকতা গড়ে ওঠে এবং তারা উদ্বুদ্ধ হয়।
দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অসৎ পথে বিরিয়ানি খাওয়ার চেয়ে সৎ পথে নুন ভাত খাওয়াও ভালো।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘মানুষের মধ্যে আত্মবিশ্বাস সৃষ্টি করতে পেরেছি। এই গতিধারা আমাদের অব্যাহত রাখতে হবে। সন্ত্রাস ও দুর্নীতি দূর করতে চাই। এর বিরুদ্ধে অভিযান চলছে, অভিযান অব্যাহত রাখব।’
‘বাংলাদেশের মানুষের জীবনে শান্তি, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ থাকলেই উন্নতি সম্ভব। সেই শান্তিপূর্ণ পরিবেশ আমরা চাই। অসৎ পথে উপার্জিত অর্থ দিয়ে বিরানি খাওয়ার চেয়ে সৎ পথের আয় দিয়ে নুন-ভাত খাওয়া অনেক মর্যাদার, অনেক সম্মানের।’-যোগ করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গঠন করার। আমরা সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি। তবে এর মধ্যে বারবার বাধা এসেছে। নব্বই দশকে পাঁচ বছর আর দুই হাজারের পর সাত বছর কাজ করতে পারি না। সে সময় দেশে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। সন্ত্রাস ছিল প্রতিদিনকার ঘটনা। আমরা ২০০৯ সালে সরকার গঠন করে আবারও জনগণের জন্য কাজ করছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশে দারিদ্রের হার কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। আওয়ামী লীগ সবসময় জনগণের জন্য কাজ করে। আর সেজন্যই এটা সম্ভব হয়েছে। এখন মাথা পিছু আয় ২ হাজার ডলারের কাছাকাছি। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের অবস্থানে এসেছে।’
সম্মেলনে পেঁয়াজের অস্বাভাবিক দাম বাড়ানোর সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করা হবে বলে জানান তিনি।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক নির্মল রঞ্জন গুহের সভাপতিত্বে সাংগঠনিক রিপোর্ট পেশ করেন সদস্য সচিব গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু।
- আরও পড়ুন >> শেখ হাসিনা এখন রাষ্ট্র নায়ক: ওবায়দুল কাদের
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম প্রমুখ।
এর আগে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। পরে চার ধর্মগ্রন্থ পাঠ করা হয়।