সিটিং সার্ভিস নামে কিছু গণপরিবহনের যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে হুশিয়ার করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ রোববার রাজধানীর কুড়িলে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) অডিটোরিয়ামে ‘সড়ক নিরাপত্তা ও সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’ বিষয়ক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, সিটিং সার্ভিস লেখা কিছু বাস আসলে চিটিং সার্ভিস। তারা যাত্রীদের সঙ্গে প্রতারণা করছে।
‘নিরাপদ সড়ক আইন, ২০১৮’ কার্যকরের বিষয়ে তিনি বলেন, আইন কার্যকরের মাধ্যমে বেশি জরিমানা আদায় করা হলেও এর মাধ্যমে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।
‘নতুন সড়ক আইনে বেশি জরিমানা মানে বেশি অর্থ নেয়া নয়। বেশি জরিমানা দিলে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে’-যোগ করেন কাদের।
সড়কে শৃংখলার অভাব রয়েছে মন্তব্য করে কাদের বলেন, অবকাঠামোগত উন্নয়নের কমতি নেই। কিন্তু, আমাদের সংকট হচ্ছে সড়কে শৃঙ্খলা। এই শৃঙ্খলা ফেরাতে সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়নে যাচ্ছি। আমাদের সমস্যা হচ্ছে, কোথাও দুর্ঘটনা ঘটলে স্থানীয় জনগণ রাস্তায় নেমে আসে।
সড়কে বিশৃঙ্খলার জন্য মোটরসাইকেলকে দায়ী করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সড়কে বিশৃঙ্খলার জন্য মোটরসাইকেল দায়ী। তারা নিজেদের পথের রাজা মনে করে। এটা একটা উপদ্রব। আমরা যে পারি না, তা না। এখন ঢাকা শহরে কোথাও হেলমেট ছাড়া চালক-যাত্রী পাবেন না। আর যারা বাইকে হেলমেট পরে না, তারা হলো রাজনৈতিক কর্মী। এখন আগের চেয়ে উল্টো পথে চলার অভ্যাস কমেছে। ভিআইপি বিড়ম্বনাও অনেক কমেছে।
রোড সেক্টর খুব চ্যালেঞ্জিং উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন করেছি। প্রধানমন্ত্রীর ডায়নামিক নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। পদ্মাসেতু থেকে বিশ্বব্যাংক সরে যাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী বললেন, তারা সরে গেছে, তাতে কী। বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু হবে।
পদ্মা সেতুর কাজ দ্রুত শেষ করার আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, পদ্মাসেতু এখন দাঁড়িয়ে গেছে। আমি ১৭৯ বার সেই সেতু পরিদর্শন করেছি। ২০২১ সালেই পদ্মাসেতু খুলে দেয়া হবে।