মাত্র ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে ৯ শতাংশ সুদহারে ঋণ পুনঃ তফসিলের (রিশিডিউলিং) সুবিধার সময়সীমা আবারও বৃদ্ধি করা হয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী রোববার থেকে আরও ৯০ দিন সময় পাবেন আবেদনকারিরা।
আজ রোববার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতিমালা বিভাগ থেকে প্রকাশিত এক সার্কুলারের মাধ্যমে এই নির্দেশ দেওয়া হয়।
বাংলাদেশে কার্যরত সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো সার্কুলারে বলা হয়েছে, চলতি মাসের ৩ তারিখ (নভেম্বর, ২০১৯) মহামান্য সুপ্রিম কোটের্র রায়ের আলোকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের আলোকে গৃহীত সিদ্ধান্তের মধ্যে- (ক) বিআরপিডি সার্কুলার নং-০৫/২০১৯ এর আওতায় ঋণগ্রহিতা কর্তৃক আবেদন করার সময়সীমা অত্র সার্কুলার লেটার জারির তারিখ থেকে ৯০ (নব্বই) দিন বৃদ্ধি করা হলো।
(খ) পুনঃতফসিল পরবর্তীতে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতেও নতুন করে ঋণ প্রদান করা যাবে।
(গ) বিশেষ নিরীক্ষা ব্যতীত টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস শিল্পের ঋণগ্রহিতাদের অনুকূলেও সার্কুলারে বর্ণিত সুবিধাদি প্রদান করা যাবে।
(ঘ) ঋণগ্রহিতার নিকট হতে প্রাপ্ত ঋণ পুনঃতফসিল ও এককালীন এক্সিট সংক্রান্ত আবেদন সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক অনুমোদন প্রদান করতে হবে। (ঙ) এ ছাড়া অন্যান্য নির্দেশনা অপরিবর্তিত থাকবে।
এর আগে ২৪ অক্টোবর প্রকাশিত সার্কুলার অনুযায়ী, বিশেষ নীতিমালার আওতায় খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিলের গৃহীত আবেদন নিষ্পত্তির জন্য এক মাস সময় পেয়েছিল দেশের তফসিলি ব্যাংকগুলো। পুনঃতফসিলের জন্য আগামী ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত নিষ্পত্তি করার সময় বৃদ্ধি করা হয়। তবে সে সময়ে ব্যাংকগুলো নতুন কোনো আবেদন গ্রহণ করতে পারেনি।
- ভরা মৌসুমে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রাখবে সরকার
- ড. কামালকে ছাড়াই খালেদার সঙ্গে সাক্ষাৎ চেয়ে ঐক্যফ্রন্টের চিঠি
উল্লেখ, গত ১৬ মে ঋণ পুনঃতফসিল ও এককালীন এক্সিট-সংক্রান্ত বিশেষ নীতিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত মন্দমানে খেলাপি ঋণ মাত্র ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্টের বিপরীতে ১০ বছরের জন্য পুনঃতফসিলের সুবিধা দেয়া হয়।
এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সুদহারের সীমা ঠিক করে দেয়া হয় ৯ শতাংশ। পুনঃতফসিলের আগে গ্রাহককে সুদ মওকুফ সুবিধাও দেয়া যাবে।