গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপ ক্রিকেটের সেমিফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। সোমবার ‘বি’ গ্রুপে নিজেদের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে নেপালকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ৯ উইকেটে হারিয়েছিল হংকংকে। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতকে ৬ উইকেটে হারায় বাংলাদেশের যুবারা।
সাভারের বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে টস জিতে প্রথমে বোলিং বেছে নেয় বাংলাদেশ। সিদ্বান্তটি যে সঠিক ছিল তা প্রমাণ করেন স্বাগতিক বোলাররা। দুর্দান্ত বোলিং-এ নেপালকে ১৩৮ রানেই গুটিয়ে দেন সুমন খান-মিনহাজুল আবেদিন আফ্রিদি-তানভীর ইসলাম-মেহেদী হাসান। চারজনে ভাগাভাগি করে নেপালের ১০ উইকেট শিকার করেন। সুমন-আফ্রিদি ৩টি করে এবং তানভীর-মেহেদী ২টি করে উইকেট নেন।
নেপালের পক্ষে স্বীকৃত ব্যাটসম্যানদের মধ্যে মাত্র তিনজন দু’অংকের কোটা স্পর্শ করেন। তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ ২২ রান করেন জ্ঞ্যানেন্দ্র মালা।
তবে স্বীকৃত ব্যাটসম্যানদের লজ্জা দিয়ে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেছেন নয় নম্বরে ব্যাট হাতে নামা ডান-হাতি ব্যাটসম্যান সম্পাল কামি। এ ছাড়া দশ নম্বরে নামা করন কেসি’র ব্যাট থেকে আসে ১৮ রান।
১৩৯ রানের সহজ টার্গেটে খেলতে নেমে এবার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন বাঁ-হাতি সৌম্য সরকার। আগের দু’ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করা সৌম্য ১১ রানে আটকে যান। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ৭৯ রানের জুটি গড়েন আরেক ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
- তারেকের নেতৃত্বে বিএনপিতে ‘নতুন প্রাণ’ সৃষ্টি হয়েছে : ফখরুল
- লিবিয়ায় বিমান হামলায় ৫ বাংলাদেশি নিহত
নাঈম ৪৫ রানে থামলেও হাফ সেঞ্চুরি তুলে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন শান্ত। ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫৬ বলে অপরাজিত ৫৯ রান করেন শান্ত। তার সাথে ১৮ রানে অপরাজিত ছিলেন ইয়াসির আলী।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ফল: বাংলাদেশ ৮ উইকেটে জয়ী।
নেপাল ইনিংস: ১৩৮/১০ (৪৪.৩ ওভার)
(সম্পাল ৩৮, মালা ২২; সুমন ৩/২৯)।
বাংলাদেশ ইনিংস: ১৪০/২ (২৪ ওভার)
(শান্ত ৫৯, নাঈম ৪৫; করন ১/১১)।