শ্বাসরুদ্ধকর সেমিফাইনালে হেরে গেলে ভারত। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে মাত্র ৩ রানের ব্যবধানে হেরে ফাইনালের আগেই বিদায় নিল শক্তিশালী ভারত।
আজ বুধবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ইমার্জিং এশিয়া কাপের প্রথম সেমিফাইনালে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করে পাকিস্তান। আগে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে তারা।
উদ্বোধনীতে দুই ওপেনার ওমর ইউসুফ ও হায়দার আলী ৯০ রানের জুটি গড়েন। এরপর ৭৮ রানে ব্যবধানে ৮ উইকেট হারায় পাকিস্তান ইমার্জিং দল। ৬০ বল খেলে ৫টি চার ও এক ছক্কায় ৪৩ রান করে ফেরেন হায়দার আলী। ৯৭ বল খেলে তিন চার ও দুই ছক্কায় ৬৬ রান করে আউট হন অন্য ওপেনার ওমর ইউসুফ। ১৩ রানে ফরেন সাদ শাকিল। ৪১ বলে ৩৫ রান করে ফেরেন অধিনায়ক রোহেল নাজির।
৩৫.৪ ওভারে ১৬৮ রানে ৪ উইকেট পতনের পর দলের হাল ধরেন সাইফ বাদর। পঞ্চম উইকেটে তিনি ইমরান রফিককে নিয়ে গড়েন ৫১ রানের জুটি। ২৮ রান করে ফেরেন ইমরান রফিক।
তবে ইনিংসের শেষ বল পর্যন্ত খেলেন সাইফ। তার ৪৮ বলে এক চার সমান ছক্কায় গড়া ৪৭ রানের অপরাজিত ইনিংসে ভর করে শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৬৭ করে পাকিস্তান।
টার্গেট তাড়া করতে নেমে ভারতীয় টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানরা দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন। ৩৭.৫ ওভারে ৪ উইকেটে ২১১ রান করে জয়ের পথেই ছিল ভারত। শেষ দিকে জয়ের জন্য ভারতের প্রয়োজন ছিল ৭৩ বলে মাত্র ৫৭ রান হাতে ছিল ৬ উইকেট।
খেলার এমন অবস্থায় ভারতকে পুরোপুরি কোণঠাসা করে দেয় পাকিস্তান। দুর্দান্ত ব্যাটিং করে যাওয়া আরমান জাফরকে সাজঘরে ফেরান পাকিস্তান জাতীয় দলের তারকা পেসার মোহাম্মদ হাসনাইন। ৫৩ বলে ৪৬ রান করে ফেরেন আরমান।
এরপর মাত্র ১২ রানে রান আউট হন শুভম শর্মা। হৃতিক শোকেনকে ৪ রানে ফেরান স্পিনার উমর খান। জয়ের জন্য শেষ ওভারে ভারতের প্রয়োজন ছিল মাত্র ৮ রান।
পাকিস্তানি পেসার আমাদ বাটের করা শেষ ওভারের প্রথম বলে সিঙ্গেল নেয় ভারত। দ্বিতীয় বলে শিভম মাভির উইকেট তুলে নেন আমাদ। পরের চার বলে ভারতের দরকার ছিল ৭ রান। কিন্তু সেট ব্যাটসম্যান চিন্ময় চুতার ও সিদ্ধার্থ দেশাই মিলে ৩ রানের বেশি করতে পারেননি।
৩ রানের নাটকীয় জয়ে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে উন্নিত হয় পাকিস্তান। ২৩ নভেম্বর শনিবার মিরপুর শেরেবাংলা ইমার্জিং এশিয়া কাপের ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে।
তার আগে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে খেলবে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান। এই ম্যাচে যারা জিতবে তারা ফাইনালে মোকাবেলা করবে পাকিস্তানকে।