সশস্ত্র বাহিনীর প্রত্যেক সদস্যকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে পেশাদারিত্ব এবং উন্নত নৈতিকতার আদর্শে নিজ নিজ দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সেনাকুঞ্জে সম্প্রসারিত ও পুনঃনির্মিত সেনাকুঞ্জ উদ্বোধন এবং সেনাকুঞ্জ আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকার সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নে সর্বাত্মক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের যুগোপযোগী এবং একটি দক্ষ সেনাবাহিনী গড়ে তুলতে পরিকল্পনামাফিক কাজ করে যাচ্ছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার সার্বিক নির্দেশনায় ১৯৭৪ সালে প্রণীত হয় জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতি। এই নীতির আলোকে বর্তমান সরকার ‘ফোর্সেস গোল-২০৩০’ প্রণয়ন করেছে।
তিনি বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনী দুর্যোগ মোকাবিলা, অবকাঠামো নির্মাণ, আর্তমানবতার সেবা, বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা এবং দেশ গঠনমূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করছে।
দিবসটি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালে ২১ নভেম্বর দেশপ্রেমিক জনতা, মুক্তিবাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী ও বিভিন্ন আধা-সামরিক বাহিনীর সদস্যরা দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণ করেন। সম্মিলিত আক্রমণের ফলে ১৬ ডিসেম্বর দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের মাধ্যমে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি জাতির অগ্রযাত্রা ও বিজয়ের স্মারক হিসেবে প্রতিবছর ২১ নভেম্বর ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস’ পালন করা হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ক্ষমতায় আসার পর দারিদ্র্যের হার ৪১ ভাগ থেকে নামিয়ে আমরা ২১ ভাগে আনতে সক্ষম হয়েছি। এই হার আমরা ১৫-তে নামিয়ে আনতে চাই।
তিনি বলেন, আগামী ৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে দক্ষিণ এশিয়ার উন্নত সমৃদ্ধ একটি দেশ। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আগামী ২০ ও ২১-কে আমরা ‘মুজিববর্ষ’ ঘোষণা করেছি। মুজিববর্ষ ব্যাপক উৎসাহ এবং উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হবে। এরই মধ্যে আমরা প্রতিটি ঘরে বিদ্যুতের আলো পৌঁছে দিতে চাই। তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি বদ্বীপ। আগামী প্রজন্ম যেন উন্নত সমৃদ্ধ একটি বাংলাদেশ পায়, এজন্য ‘ডেল্টা প্ল্যান-২১০০’ ঘোষণা করেছি। সে মোতাবেক আমরা কাজ করে যাচ্ছি। বাংলাদেশের অগ্রগতি আর কেউ থামাতে পারবে না।