চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তরে অবস্থিত একটি এতিমখানার ছাদ ধসে অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার ফরাজিকান্দি এতিমখানায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আহতদের একজনের অবস্থা গুরুতর। বাকিরা আপাতত শঙ্কামুক্ত।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ঘটনার শিকার শিক্ষার্থীরা জানান, এতিমখানার দোতলার বারিন্দার করিডোরে রাতে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদযাপনের প্রস্তুতিসভা চলছিল। তাতে নির্দেশনা দিচ্ছিলেন শরীরচর্চা শিক্ষক মোহাম্মদ হোসেন। হঠাৎ করিডোরে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের ওপর ছাদের একটি অংশ ধসে পড়ে। এতে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পরপরই স্থানীয়দের সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীর আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠায়। আহতদের মতলব উত্তর ও দক্ষিণে ২২ জন, চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে ১২ জন এবং আশঙ্কাজনক অবস্থায় আরও একজনকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।
মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান ডা. এ কে এম মাহবুবুর রহমান, চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তৌহিদুল ইসলাম বলেন, আহতদের মধ্যে ৩৪ জন আপাতত আশঙ্কামুক্ত। অন্য একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় এতিমখানার শরীরচর্চা শিক্ষক মোহাম্মদ হোসেনও আহত হন।
- আরও পড়ুন >> ৫ প্রভাবশালী মুসলিম দেশ নিয়ে পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন মাহাথির
- আরও পড়ুন >> রাজনীতিতে নেতিবাচক ধারণা বদলাতে চান নতুন যুবলীগ চেয়ারম্যান
- আরও পড়ুন >> রাজনীতি নিজের জন্য নয়, এটা দেশের মানুষের জন্য: প্রধানমন্ত্রী
এতিমখানার প্রধান মো. নাসিরউদ্দিন বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থান ছাড়াও স্থানীয় এতিম ও অসহায় শিশুরা এই এতিমখানায় ধর্মীয় শিক্ষা নিচ্ছে। তবে ১৯৪৯ সালে এতিমখানাটি প্রতিষ্ঠা করা হলেও এই চার তলাবিশিষ্ট ভবনটিতে মোট ২৫টি কক্ষ রয়েছে। এসব কক্ষে শিক্ষার্থীদের থাকা ও পড়াশোনার কাজ চলে।
এতিমখানায় ছাদ ধসের ঘটনার পর জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান, পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার প্রমুখ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।