রাজধানীর ভাটারা থানায় অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীবের বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দিয়েছে মামলার তদন্ত সংস্থা র্যাব।
আজ সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম জসিম উদ্দিনের আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করে র্যাব। আদালত দেখিলাম বলে স্বাক্ষর করেন। আগামী ৩ ডিসেম্বর মামলাটির তারিখ ধার্য আছে।
আদালতের ভাটারা থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক লিয়াকত আলী গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে ১৯ নভেম্বর রাজীবকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে র্যাব। সেদিন ভাটারা থানার মাদক আইনে করা মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাব-২ এর উপ-পরিদর্শক প্রণয় কুমার প্রামাণিক।
অন্যদিকে, তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে ১৫ নভেম্বর ভাটারা থানার মাদক মামলায় তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ১১ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত তার চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত ৪ নভেম্বর অস্ত্র ও মাদক মামলায় রিমান্ড শেষে কাউন্সিলর রাজীবকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
গত ২০ অক্টোবর ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরা মাদক মামলায় সাতদিন ও অস্ত্র মামলায় সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ওইদিন রাতে তাকে ভাটারা থানায় হস্তান্তর করা হয়। তার বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র আইনে মামলা করেন র্যাব-১ এর ডিএডি মিজানুর রহমান।
১৯ অক্টোবর দিবাগত রাতে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এক বন্ধুর বাসায় আত্মগোপনে থাকা রাজীবকে গ্রেফতার করে র্যাব। এ সময় ওই বাসা থেকে সাতটি বিদেশি মদের বোতল, একটি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, তিন রাউন্ড গুলি, নগদ ৩৩ হাজার টাকা ও একটি পাসপোর্ট জব্দ করা হয়।
- এক সিস্টেমেই কমেছে লক্ষাধিক সরকারি চাকরিজীবী ও পেনশনারের সংখ্যা!
- আ.লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে ব্যাপক রদবদলের আভাস
২০১৫ সালে ডিএনসিসির ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার আগে দৃশ্যমান কোনো ব্যবসাই ছিল না মোহাম্মদপুরের তারেকুজ্জামান রাজীবের।
২০১৫ সালে কাউন্সিলর নির্বাচনে তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। দলীয় প্রার্থী ও মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ বজলুর রহমানকে হারিয়ে নির্বাচিত হন তিনি।